নাটকের তখন চলছিল মহড়া
চাতকে মত যে কিশোরটি বেচারা
কিশোরীর সঙ্গে বাক্যালাপের জন্য
কাতর হয়ে ছিল একপায়ে খাড়া
এবার বলে উঠল হয়ে ধৈর্যহারা...
-“রাধা তোমার লাগি দিব জীবন ত্যাগী”
-“না কৃষ্ণ না, জীবন নিয়ে আমি করিনা কারবার
আগেও তোমাকে বলেছি একথা একশত চারবার”
(নিম্ন স্বরে বলল কিশোর, কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ওর)
-“হ্যাঁ তা বলেছিলে বটে,
কিন্তু সে তো ছিল অন্য নাটক, নাম ভুলে গিয়েছি নিছক
আর তখন তো ছিল না চাকরি মোটে,
ভাবতাম কি করে নুন ভাত জোটে,
(তারপর জোরে বলল তারস্বরে)
এখন তো আমার বেনামে একশো আটটা চালকল”
-“ না বাপু না, ও রকম দেখেছি আমি অনেক জাঁতাকল
সেই তো হবে চুল বাঁধতে আর ভাত রাঁধতে হাত পুড়িয়ে”
-“না প্রিয়ে না, ভাত পুড়িয়ে নয় তুমি খাবে আলু পুড়িয়ে,
প্রয়োজনে আনব নৈনিতাল থেকে কুড়িয়ে”
-“ আহা! কি শীতল! হিমালয়ের পাদতল!
নৈনিতালের নামে গেল হাড় জুড়িয়ে,
তা, সেখানে তো আছে অনেক পাহাড় নিশ্চয়?
আমারে সেখানে নিয়ে চল নয়।”
-“তুমি কি করবে সেখানে গিয়ে,
পাহাড় আমি উঠিয়ে আসব নিয়ে বগলে দাবিয়ে”
-“মানে হনুমান যেমন এনেছিল গন্ধমাদন কাঁধে চড়িয়ে?
আরে, সে তো চিনতে পারেনি মৃতসঞ্জীবনী”
-“ঠিক তাই, তুমিও তো রাই, জীবিতাবস্থায় আমায় চিনতে পারনি
তাই বলছিলাম রাগি- তোমার লাগি দিব জীবন ত্যাগী”।।