পাকা কলসির গলা জোড়া দিয়ে
নানান নকশি গাত্রে সাজিয়ে
রাঙিয়ে নিয়ে তারে অপূর্ব বাহারে
মধু রাখতে চেয়েছিলেম কানায় কানায়
বধূর মন যাতে উল্লাসেতে ভরে যায়।

চিত্ত কিন্তু হলনা বিগলিত
সংসারও গেল ভেস্তে কার্যত
এমতাবস্থায় নিঃসীম তমসায়
বিনিদ্র যামিনী কাটাল কামিনী
ভোরের ডাকেতেও শিশির আসেনি।

রজনী শেষের অন্তিম লগনে
গগন হলেও রক্তিম তপনে
কাঙ্ক্ষিত আশার বানী, না শোনানোয় ঊষা রানি
চিড় ধরা সম্পর্কে বাড়ল ফাটল
নীল আকাশে ছাইল কালো বাদল।

মধু ঝরতেই জোড়ের ফাঁকে
তেড়ে এলো মক্ষী ঝাঁকে ঝাঁকে
ময়ূরকণ্ঠী রঙ, দেখে তাদের বরং
ফিরে পেলেও বা বধূ আত্মবিশ্বাস
ছাড়ল বিদায়ি বছর দীর্ঘশ্বাস।