কিছু অল্পশিক্ষিত মানবের সাথে বাস করে সে
কুশিক্ষিত দানবের মতই হয়েছিল মানসে
সবার হৃদয়ে কথায় কথায়
যখন তখন ভরত ব্যথায়।

সেই উচ্ছৃঙ্খল ভাঙ্গার নামেতে শৃঙ্খল
পঙ্ক হল সরোবরে না হয়ে শতদল
মৌ তাই খেতে এলোই না মধু
হিয়া যে শুধু হল মরু ধু ধু।

ঢিল ছুঁড়ত দেখলে সে ময়না
হরষ তাদের গানেতে পেতনা
তিরের ফলায় তাদের বিঁধিয়ে
চাইত  সে সম্মান বুক ফুলিয়ে ।

পুত্রও পিতার সেই সূত্র ধরে
একই চরিত্রের উঠল গড়ে
বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া
এই বলেই সে পেটাত ঢ্যাঁড়া।

তারপরেতে যেই একদিন
নিশি হচ্ছে শিয়রেতে আসীন
সন্তান বড় হয়েই ভাবছে সোজা, পিতা এখন জীবনে শুধুই বোঝা
নিশানা তার দিশাখানা মেনে
লাগল পিতার বক্ষে্তে গিয়ে
চলে যেতে যেতে ইহ জগত ছেড়ে, শেষে মানলেও পিতা গেছেই হেরে
সন্তান ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে
আর কি প্রয়োজন এখন পিতার, দাঁড়িয়েছে যখন নিজ পায়ে তার।