আমি মনে হয় এখনো
নিজেকে নিজে তেমনও
সেই অর্থে না বুঝলেও বুঝে ওঠার
চেষ্টা চালাই
চোরা-স্রোতে কখনো কাগজে বানানো
নৌকা ভাসাই;
আর তাতে ভীষণ স্বর্গসুখও পাই
আবার কখনো যে ছাগটা দুধ দেয়
তার ভালবাসাকে মাড়িয়ে হেলায়
সোনার হরিণের পিছনে দৌড়াই।

সন্ধ্যাবেলাকে এত ভালবাসি যে
নিত্য আরাধনা করি সন্ধ্যারতি দিয়ে
এদিকে আবার সকাল হলেই
অর্থের পিছনে দৌড়াই চাবুক নিয়ে।

বিত্তের সাথে এই মিত্রতার খেলা
এত অপরূপ লাগে সারাটা বেলা
অন্যের জীবন দুর্বিষহ করে সদা
নিজ বাগিচায় বসাই ফুলের মেলা।

দিনের শেষে এলে সন্ধ্যাবেলা
অর্থহীন এই অর্থের প্রতাপ
জানিনা মনে ফেলে কি প্রভাব
আমি হয়ে যাই হঠাত একেলা
অকস্মাৎ তখনি মনে হয়
কেন হয়েছি এত নির্দয়
এত নিষ্ঠুর ও পাষণ্ড কেন  হয় হৃদয়
ভ্রমরের গুঞ্জনেও কানে লাগে ঝালাপালা
পৈতৃক কৃপায় পেয়েছি নয় সামান্য বিত্তের আস্বাদ
তাই বলে কি পারিনা হতে দৈত্য কুলেও আমি প্রহ্লাদ।