দিবসে সমক্ষে,  তমসে অলক্ষ্যে
দেখেছো কি বিবেককে দিয়ে বলিদান
হারায়ে আবারে, পেয়েছে কেউ তারে,
পূর্বের মতি ও সেই পরিচিতি সম্মান।

দেখেছো আবারো হাজারও হাজারও
নিজ কর্মে রত কত শত শত
কবির লেখা গুলো ধরণীরও ধুলো
চুমেও হচ্ছে ইন্দুর মত ঝলসিত।

সে কবিরা কিন্তু দেখেনা স্বপ্নে তা,
যা দ্যাখে আপামর সাধারণ জনতা,
তারা আঁখি মেলে দেখে যা স্বপনে
থাকে সেখানে বাস্তবের কঠোরতা।

ভালবাসার তারা এঁকে যেমন ছবি
বসুধাতে ছড়ায় প্রণয় নিরবধি
তেমনি অনুরাগকে দেখলে বিদলিত
কৃষ্ণাক্ষরে ধরে রক্তাক্ত অসিটি।

শত শত যন্ত্রণা করে রচনা
কবিতায় ফুটিয়ে বাস্তবিক বাসনা
বিদ্ধ কোরে কাঁটা, গোলাপেরই মত
এঁকে দেয় রক্তাক্ত বিবেকের আলপনা।

তখনি বয়ে যায় উষ্ণ রক্ত ধেয়ে
হৃদয়ও আবেগে ওঠে উদ্বেলিয়ে
কুঠারকেও তৎক্ষণাৎ বানিয়ে তলোয়ার
জনতাই দেয় প্রতিকারের পথ বাতলিয়ে।

যে মেয়েটির গেল প্রাণটুকু হারিয়ে
তার  জন্য কি আমরা দুদণ্ড দাঁড়িয়ে
পারিনা কঠোর এক বারতা পাঠাতে
যা দেবে শয়তানদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে।