নাও তখন প্রায় মাঝ দরিয়ায়
মৃদুমন্দ বায়ে দোলাচ্ছে তায়
ঘুমন্ত শিশুটি মায়ের কোলে
চারটি স্বপ্ন দেখে দুলে দুলে।

প্রথমটি তারে শিক্ষিত করে তুলে
তৈরি কোরে মহামানবের আদলে
নিয়োজিত করেছে মানব সেবায়;
কষ্টে সৃষ্টে গেলেও বা চলে
বিবেক প্রায় প্রতিদিন বলে
পরার্থে গেলনা কিছুই করা হায়।

দ্বিতীয়তে ঝড় বাড়লেই আকারে
স্বপ্ন দেখে সে মনোবিকারে
অনেক কিছু করা যেত মনোমত;
পীড়িত জনের আহ্বান শুনে
এগিয়ে যেতে চাইলেও সমানে
পিছন থেকে না যদি বউ বাধা দিত।

বায়ুপ্রবাহ পেলে, আরো জোরে গতি
তৃতীয় স্বপ্নে চেপে ধ’রে ভীমরতি
জায়া বলে আর বাড়িয়ো না মায়া;
এদিকে যে বাঁধ ভাঙ্গছে ধৈর্যে
কপাল খোলে না সেই হারে যে
লম্বা হচ্ছে লোভী চাহিদার ছায়া।

দেখে তুফানের অশনি সংকেত
চতুর্থ স্বপ্নে সে, বনে যায় প্রেত
আপনারে নিয়ে গিয়ে শোষকের ভূমিকায়;
যেখানে আছে শুধু রক্ত চোষার সুখ
সামগ্রী ঠাসা ঘরে, ভরে দেওয়া দুখ
যোগ্য পেত্নীও পড়ে ভোগ্যপণ্যের লালসায়।

ভাবার্থঃ প্রথম জীবনে মানুষ হয় পরার্থপর,
বিয়ের পরে রাখতে চায় ধরে সেই কলেবর,
পরবর্তীকালে নিজ লোভে সে হয় পাপী
তারপর হলে শোষক আর থাকে না, কোন অনুতাপই।