পিতামহ হলেও প্রদীপ্ত কবিরাজ
মেধা বেচে খেতে, পেতেন ভারী লাজ
বলেছিলেন তাই পুত্রকে তিনি;
সেবাই ধর্ম সেবাই কর্ম
কেবাই আজ বোঝে তার মর্ম
জ্ঞানের বাণী করুক আগে জ্ঞানী;
তবেই তোমায় নামাব পেশায়
মুমূর্ষু জনের মূহর্ত্তে সেবায়
ঔষধি দেবে মৃতসঞ্জীবনী।

শিরোধার্য করে আদেশ পিতার
ধৈর্য ধরে সে জমালো পশার
সমাজের প্রায় সকল শ্রেণী;
নিয়ে যেত তার কাছ থেকে নিয়ত
চিকিৎসা করিয়ে ওষুধ পথ্য
দিয়ে কড়ি গুনি গুনি।

তবুও কিছুতেই সংসারের অবস্থা
অকস্মাৎ না ফেরায় ভাঙ্গল আস্থা
প্রচলিত আয়ের রাস্তার প্রতি;
পুত্রটারে ডেকে তারে বারংবারে
সূত্র বোঝালেন চতুর হবার তরে
আমদানি যাতে পায় ত্বরিত গতি।

ছেলে হল ডাকাবুকো চিকিৎসক
তার সাথে ঠগ, ঝুনো ধার্মিক বক
হাতেনাতে ফল পেল সাংঘাতিক;
হৃদয়খানি মানুষের সরিয়ে নিয়ে
মাথা-টানি দিয়ে সজোরে ঘুরিয়ে
নিয়ে এলো বাজারে, বিত্তবান বেইমান নেতা রাজনৈতিক।