কল্পতরু পাবার আশায়
প্রিয়া রোজ তারে গল্প শোনায়,
ভেবেছিল সে মুগ্ধ হয়ে
অল্প কথায় পথ হারিয়ে
গল্পের গরুর ন্যায় চড়ে গাছেতে,
অতি সহজেই যাবে বিপথে।

কিন্তু হায়রে পোড়া কপাল
যদিও এটা ঘোর কলি কাল
গল্প শুনতে সে নয় রাজি
এমনই হতচ্ছাড়া পাজি,
তখন তারে সুকৌশলে
সুখের আভাস যেখানে মেলে
কল্পনায় গড়া সেই জগতে
উড়ন্ত রথে দুরন্ত গতিতে
সঙ্গে নিয়ে চলল বেড়াতে,
ভোগ্যপণ্য যেখানে ভর্তি
ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েও
সবারি চোখে মুখেতে ফুর্তি।

সেখানে যেতেই পথ সে হারায়
অনুনয় বিনয় সব বৃথা যায়
ফিরে আসতে প্রিয়া রাজি নয়,
অভিমন্যু কি করে
তখন মনে পড়ে
চক্রব্যূহে প্রবেশ করেও,
পারেনে সেখান থেকে বেরোতে,
সে তো কোন এ যুগের প্রেমিক
বিয়ের পরে, বাপ মার তরে
কয়জনে আজ কিই বা করে,
বড় জোর চিতায় ভস্ম হলে,
গঙ্গা জল ছিটায় খানিক,
অথবা অস্থি ফেলে তার জলে।


সরলার্থ-
‘ভোগ্যপণ্যের লালসা আর লোভে,
বাপ মাকেও ছেলে, বোঝা ভাবে ক্ষোভে’।