আমার ঘাটে সুবর্ণ তরী,
ভিড়ল যেদিন সম্পূর্ণ সেদিন,
আক্ষরিক অর্থে ছিলেম আনাড়ি,
তবুও যে তোমার ছিলনা উপায়,
বেঁধেছিলে ভুলে এক গাঁটছড়ায়,
নাওটাও গেল ঘাটটারে ছাড়ি।

তবে সেই তরী, গিয়েছিল ছাড়ি,
খাঁটী এক তাল কাঁচা সোনা,
স্বর্ণকার নই, কর্মকার হই,
হিরণ্য নিয়ে তাই পরলেম ফাঁপরে,
অনন্য গড়নে বানাই কেমনে,
অবর্ণনীয় ধরনে, অতুলনীয় বরণে,
অভূতপূর্ব, তার এক গহনা।

কি করে জড়ি বানিয়ে কাপড়ে,
সাজাই তারে শাড়ীর দুই পাড়ে,
এতো নয় কর্মকারের কর্ম,
সে কি বোঝে আর কাঞ্চনের মর্ম,
এ যেন ভাবে, সিদ্ধ স্বভাবে,
বদ্ধ কালা,
সানাই খানা নিয়ে, এ কি হল জ্বালা?

তুমিই তারে বাঁধলে সুরে,
বাজালে শুধুই আমার তরে,
কম্পিত অধরে বুঝিয়ে দিল,
অন্তিম প্রহরে কি রাগ হল,
ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে গিয়ে,
অন্তর যুগলে, একাত্ম হলে,
একটি স্বর ও বাজলে বেসুরো,
আমার মত মূক ও বধিরও,
রাগিণীর মতই হল অস্থিরও,
সাতটা স্বরই সাজিয়ে আবারই,  
তোমারেই সে তা ফিরিয়েও দিল।