সেদিনের মত বাজল বাঁশী,
পাঠশালার পাঠে হলেও ছুটি,
দৌড়লাম মোরা কুমোর পাড়ায়,
শুনলাম নাকি পড়েছে মাটি।

কেউ বলল কালো তারে,
কেউ বলল আরে না রে,
এতো ঢাকবে ধাঁচা টারে,
তার ওপরে প্রলেপ দিয়ে,
মায়ের রূপ আনতে গিয়ে,
কারুকার্য হবে চুটিয়ে,
তা প্রায় লাগবে এক মাস,
মধ্যখানেও এসে দেখে যাস,
তবুও কিন্তু খুলবে না রূপ,
তবুও পাবেনা সেই হাসিখানি,
যার জন্যে সারাটা বছর,
দুর্গা পূজো দেয় হাতছানি।

সেটা তবে আসবে কবে,
কখনই বা চেপেই কিসে?
এর জবাবও ছিল তৈরি,
পণ্ডিত মশাই গভীর রাতে,
অলক্ষ্যে এসে ও মন্ত্র পাঠে,
প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবে তাতে,
তবেই খুলবে রঙের বাহার,
জীবন্ত হবে সব অলঙ্কার।

ছোট্ট মনে ছোট্ট বয়সে,
প্রশ্নটা মনে এলো অনায়াসে,
তবে কি পণ্ডিত মশায়ের অবদান,
কারিগরের থেকেও উচ্চ ও মহান।