মনে কি পড়ে প্রিয়ে,
ছুটতে ছুটতে পাঠশালায় গিয়ে,
বসতেম মোরা, কক্ষের দু ধারে,
মাঝেতে শিক্ষক থাকত দাঁড়িয়ে,
আড়চোখে হত ভাব চালাচালি,
নইলে শিক্ষক দেবে এক ফালি,
বেত দিয়ে পিঠের ছালটা ছাড়িয়ে।


তারপর বিকেলে খেলা হলে শেষ,
দাঁড়াতেম গিয়ে অলিন্দতে বেশ,
তুমিও সখা নিত্য দিতে দেখা,
নূপুরের ছন্দে নৃত্য হলে শেষ ।


সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত্রি হলে,
চোখের পাতা যেই যেত মিলে,
সারাদিনের কথা দিলেও কিছু ব্যথা,
স্বপ্নটুকু নিয়ে উঠতেম সকালে।


আবার সেই পাঠশালায় যাওয়া,
রোজকার মত নাওয়া আর খাওয়া,
ব্যস্ততার মাঝেও ভালবাসা দিয়ে,
এই ভাবেই জীবন চলত এগিয়ে।


কত সাহিত্যে পেয়ে স্থান,
এই ধরনের প্রেম বাড়িয়েছে তার মান,
এখন করলেও প্রেম, স্পর্শ দেহ,
মর্ম্ম স্পর্শ করেনা কেহ,
আর সাহিত্যের মান, কে জানে বেড়েছে,
নাকি হয়েছে আরোই ম্লান!