উথলে ওঠা ভাতের ফেনা থেকে
              উঠে আসা জলকনা
বাতাসে ভর করে পাড়ি দিল
               দূর আকাশে।


অর্ণব আর ভানুর উত্তপ্ত সঙ্গম ক্ষণে
               যে নিঃশ্বাস পড়লো আকাশের বুকে
হাওয়া তা কাঁচবাক্সে করে
               নিয়ে গেল সঙ্গে করে।


দ্বি-খন্ডিত হৃদয়ের বেদনায়
               কিশোরী অন্তর মৈথুন করে
উঠে আসা ফোঁটা ফোঁটা জল
                 যখন কপোল বেয়ে চলেছে;
সমীর এসে তখন
                  শীতল চুমু খেতে খেতে
মুছে দিল সব বেদনার দাগ।
                  নিয়ে গেল সাথে করে
ভুলে যাওয়া কোন পথের শেষে।


হাঁড়ি থেকে উঠে আসা,
সাগর থেকে উড়ে আসা
আর চোখের কোল থেকে
চুরি হয়ে যাওয়া সব জলকণাদের
হাট বসলো মেঘমল্লার চাঁদোয়ায়।


চৈত্রের খর উত্তাপে
        জলকন্যাদের প্রেমসুধা পানার্থে
ভুবনের বুক যখন ফেটে চৌচির,
         জলকণারা তখন আড় চোখে চেয়ে
ঘু্রে বেড়ায় এ আকাশ- ও আকাশ।


মজনুন ভুবন চাতকের মত
         চেয়ে থাকে জলকণাদের দিকে।
নানা আকুতি জানায়
         জলকণাদের মন গলাতে।
বেগানা প্রেম কাবু করে জলকণাদের।


কামনা যখন বিজলী চমকায়
জলকণারা তখন ঘনীভূত হয়,
আছড়ে পরে ভুবনের বুকে,
স্নান করিয়ে দেয় কামনা-সুধায়।