একই পঞ্জিকার পাতা উল্টাতে উল্টাতে বছর টি পেরিয়ে যায়
সাথে করে দিবস গুলোর রঙ কালো সাদা লাল ধূসর সহ আরও শত নাম না জানা কথা গুলোও ভুলিয়ে দেয়
আমি পথ আগলে একটা দিন একই মলাটে এঁকে চলি
কথার তুড়ে চেনা মুখ হারায়
আমি ফের পঞ্জিকায় মুখ লোকাই নতুন আগন্তুক এর রঙে
বই গুলো খেলনা সরুপ
আমায় শেখায়, লিখায়, হাসায় এমনকি দিনশেষে শূন্য মনে চুপসে যেতে কয়
মাঠির রঙে মিশে যাওয়া কবর টিও অচেনা বলেই প্রমাণিত করে
চেনা মুখ এর ছবিটা স্বরণ করতে গিয়ে ঘন্টা দু'য়েক কষ্টে নষ্টে ছবি আঁকে
একে কোন মাহেন্দ্রক্ষণ বলাও বৃত্তা
আমার চিরকালই ঘুম প্রিয় ছিল
লাশটা কবরের মাজে রাখতে গিয়েও আমি ঘুমে জড়িয়ে পড়ি
কখনো মনে হয়েছে এই বিদায় লগণে এশে তার সঙ্গি ঘুম গুলো কেঁড়ে নেই
নতুন স্বাদের তৃপ্ততা নিয়ে তাকে মুক্ত করে চশমা টা রেখে আমিই শুয়ে পড়ি চিরতরে
হে ইশ্বর! আমি কি কবু জাগ্রত ছিলাম না
নাকী মরে যাবার আগেও আমার জন্ম ছিলনা
আমি এক আজন্ম পাপ হয়েই কেন এই উদরে ঢেকে নিলে
যেখানে আমিতে আমি নেই
প্রতিটা স্রোত এর তুড়ে দাঁড়িয়ে ফের পাল তুলা দেখতে চাই
কিন্তু এখন পঞ্জিকার পাতা বদলে যাবার ঢাক পড়েছে
পাতা গুলো খসে পড়তে পড়তে আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে
তুমি কবু স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলে না
তবে কেন বল- আমি পূর্ব আকাশে জমে থাকা মেঘ দেখে আমারও কান্না হয়
আমার রঙে রঙ মিলিয়ে যায় এই সময়ে এশে
আমি পঞ্জিকার পাতায় নতুন হিসেবে চোখ বুলাই নতুন জন্মে কিংবা মৃত্যুতে কে এশে দরজায় কড়া নেড়ে যাবে


___পঞ্জিকার পাতা