স্বামী বিবেকানন্দ
------------------------------
---------শিব পদ রায়
স্বামী বিবেকানন্দ এক মহাপুরুষ,
তিনি ছিলেন একজন বীর সন্ন্যাস।
মা ভুবনেশ্বরী দেবী পিতা বিশ্বনাথ,
দরিদ্রের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রণিপাত।


ছেলেবেলায় নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ,
বীরেশ্বর থেকে বিলে নামে সূত্রপাত।
ঈশ্বর আছেন প্রশ্নে উত্তর মেলেনি,
দর্শন মহাসাধক রামকৃষ্ণ যিনি।


ঠাকুরকে বলেন ঈশ্বর দেখেছেন?
মাতৃসাধক উত্তরে দেখেছি বলেন।
মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান,
স্বামীজী বিশ্বাস যোগ্যতা হলো অর্জন।



শ্রীরামকৃষ্ণ কর্তৃক দীক্ষিত হলেন,
সারা ভারতে অশিক্ষা কুশিক্ষা দেখেন।
অজ্ঞতা,দারিদ্রতা ও কুসংস্কার হতে,
ইংরেজ শাসন থেকে দেশকে রক্ষিতে।


বিশ্বধর্ম সম্মেলনে শিকাগো শহরে,
হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্যে সর্বোপরে।
অনেক বিদেশী তাঁর মুগ্ধভক্ত হন,
ভগিনী নিবেদিতা সান্নিধ্যে দীক্ষা পান।


বিবাদ নয়,সহায়তা; বিনাশ নয়,
পরস্পরের ভাবগ্রহণ, সমন্বয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবে লড়বেন,
কুসংস্কার ধ্বংসে এক হতে বলেন।


শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম জানান,
দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ বর্ণান।
স্বাধীনতাই ধর্ম, পরাধীনতাই পাপ,
জীবের সেবায় ঈশ্বর সেবাই মাপ।


সৎ হওয়া আর সৎকর্ম করা জানবে ,
এ দুয়ের মধ্যেই সমগ্র ধর্ম পাবে।
স্বামীজীর অমিয় বানী মেনে চলবো,
জীবে প্রেমই ঈশ্বরে সেবা মানবো।
        তাং- ১৩/০১/২৪ ইং
        চুকনগর ডুমুরিয়া, খুলনা।