কামদা একাদশী
--------------------------------
-------- শিব পদ রায়
চৈত্রমাসে শুক্লপক্ষে বরাহ পূরানে
কামদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য আছে,
যুধিষ্ঠির বাসুদেবে বলেন বর্ননে
শ্রীকৃষ্ণ বলেন এ ব্রত শ্রবণে কাছে।


মনোরম নাগপুরে নাগেদের বাস
রাজা গন্ধর্ব,কিন্নর,অপ্সরা সেবিত,
ললিতা ললিত নামে গন্ধর্ব আবাস
পুরীমধ্যে ঐশ্বর্যপূর্ণ গৃহে রহিত।


পুন্ডরীক সভায় ললিত গানরত
এমন সময় ললিতাকে মনে পড়ে,
স্বর-লয়-তালমানে হয় বিপর্যস্ত
কর্কটক নাগ রাজাকে নালিশ করে।


সর্পরাজ ক্রোধে ললিতাকে শাপ দেয়
সঙ্গে ললিতে রাক্ষস মূর্তি ভয়ঙ্কর,
মহাদু:খে চিন্তায় ললিতা পিছু নেয়
বিন্ধ্যগিরি ঋষ্যশৃঙ্গমুনি আশ্রিতের।


মুনি জিজ্ঞাসে সুন্দরী তুমি কার কন্যা
কেন এসেছ এ অরণ্যে কি বা কারণে,
গন্ধর্বকন্যা পতি পিশাচত্ব যাক না
এমন উপায় বলুন দূরীকরণে।


বশিষ্ঠ মতে কামদা একাদশী পালে
সমস্ত ফল পতির উদ্দেশ্যে অর্পণ,
শাপমুক্ত হয়ে দিব্য দেহ প্রাপ্ত হলে
পুন গন্ধর্ব দেহ ধারণে স্ত্রী মিলন।


একাদশী মাত্রেই পাপমোচন হয়
প্রত্যেকের উচিত একাদশী পালন,
শ্রদ্ধা পূর্বক পাঠ শ্রবণে বাজপেয়
যজ্ঞফল লাভ করো সবে সর্বক্ষণ।
     তাং- ২০/০৪/২৪ ইং
  চুকনগর, ডুমুরিয়া, খুলনা।