সে'তো যা হওয়ার তাই হল দ্বীপ নদী আকাশ বাতাস পাহাড় সব কেনা হল
বেচা হল একে অপরের বিনিময়ে, সব কিছুর আশ্বাস পাওয়া গেল, সব কিছুই আপন
হল, কেউ'বা কাছের হল, কেউ'বা নিজের টানেই ঘর বাঁধল অন্য দেশে, নিজের মতন
করে, কেউ'বা  ধরো আমারই মতন কেউ কেউ খুঁজতেই থাকল আর খুঁজতেই থাকল নিজের বাসা ।
গাছে ঘর হল ,হল পাখি দের সাথে ওঠবস,তাদের কিচিরমিচির কখন যেন আপন হয়ে গেল।
এল আকাশ কাঁপিয়ে চারিদিক অন্ধকার করে ঝড়, কেউ বাঁচল , কেউ কেউ বাঁচল তাদের নিজের
মত করেই , কেউ কেউ নতুন করে বাঁধল ঘর নিজের মতন ।

নদীর ধারের যে গভীর বন টা আছে সে আমায় থাকতে দিল ,সে আমায় গাছ দিল, ঝড় বৃষ্টিতে মাথার
ওপরে দিল তার ডালপালার শামিয়ানা, কোথাও যেন আলো কম পরে যাচ্ছিল আমার, কোথাও যেন কিছুটা
দম বন্ধ, সূর্য যেন ছুঁতে পারছিলাম না আমি যখন তখন ।
কোথাও যেন বইতে পারছিলাম না আমি নদীর মতন ।
তার ডালপালা ক্রমশ আমায় জড়িয়ে ফেলছিল নিজের আয়ত-বর্গে।


ছুটি চাইলাম আমি, দেখলাম একমাত্র নদীই হতে পারে আমার একান্ত আমার বন্ধু। যখন তখন দুয়ে মিলে
গাইতে পারি, যখন তখন উচ্ছ্বাসে বাঁধ ভাঙতে পারি, যখন তখন বইতে পারি বা বওয়াতে পারি নিজের
স্রোতে! দুঃখ হলে দুয়ে মিলে গলা জড়িয়ে কাঁদতে পারি, যেখানে দুজনের চোখের জল মিলিয়ে মিশিয়ে
যায় দুজনের চোখের জলে,কাউকে জবাবদিহি করতে হয়না , কি কারণ এ চোখের জলের!
আবার সকাল হলেই সূর্যের সাথে মাততে পারি খেলায়।


তাই ঠিক করলাম আমি আর নদী দুয়ে মিলে ঘর বাঁধব একটা উঁচু পাহাড়ের চূড়ায়,যেখান থেকে
অনায়াসে মাটিতে নেমে আসতে পারব দুজনেই নিজের ইচ্ছা মত।
ছুঁতে পারব আকাশ সূর্য আর পাহাড় চূড়া কে নিজের করে।
আর নদী হবে আমার সারাজীবনের বন্ধু ।