আগে ছিল অনন্ত ঘুম
অথবা ঘুমের মতো কোনো স্থিতি।
জেগে ওঠা মানেই
আবার ঘুমের প্রস্তুতি।
মনে হলো, বেশ ভালো আছি।
দূর দেশী মায়াবী সে আলো
খেজুরের বনে এসে
জানালায় জ্যোৎস্না জ্বালালো।
খুব কাছে সে এসেছিল
দুই ঠোঁট, পাপড়ির মতো।
সেঁজুতির শিখার কাঁপন
অনন্ত সময় সমাহিত।
সময়, জ্যোৎস্না ভেজা শেষে
খেজুরের রসে গেছে মিশে।
তারপর রয়ে সয়ে চাওয়া
শরীরের বাঁক ভালোবেসে।
ঘুম ছিল, না-জাগা প্রেমের সাথে
লুকোচুরি খেলার সাথী।
জেগে দেখি, আজও বেঁচে আছি
আমি ও আমার সমব্যথী।