দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়ে
যখন প্রায় মরি মরি ,
সবাই কে তাক লাগিয়ে দিয়ে-
চাকরি পেলাম প্রায়মারি।


বি.এ. এম.এ. বি.এড, ডি.এড
ডিগ্রি সবই আছে,
দাদা,মামা, ধরাই ছিল
ফসকে না যায় পাছে।


বলব কি আর,সত্যি দাদা
বড়ই পেলাম শান্তি,
শুধু এপয়েন্টমেনটের একটা কথা
বাঁধিয়েছে যত অশান্তি।


কোন কথাটা? সেকি দাদা,
জনেন না দেখছি কিছুই,
ঐ যে ‘কোর্ট কেস ঝুলে আছে’
এতো জানে সকল শিশুই।


সে যাই হোক,পেয়েই যখন গেছি
আর করিনা পরোয়া,
বয়স টা ছুয়েছে চল্লিশ
এবার হতেই হবে ঘরোয়া ।


মায়ের বড়ই সাধ ছিল
ট্রেনে করে আফিস যাবে খোকা,
ঘরে আসবে টুকটুকে বউ                                                                                  
আসলে,নিরক্ষর মা ছিল বড়ই বোকা ।


মা মরেছে রোগে,শোকে,অনাহারে
নয় নয় করেও,বছর পাঁচেক হল,
বাবা ছিল, লাঠির পরে টিমটিমিয়ে
সেও তো গত বছর গেল।


এবার শুধু বিয়েটা একবার হোক
লাইফ টা এনজয় করব বেশ,
কিন্তু দাদা,ভয় শুধু একটাই,
ঐ যে বলে না ,’চল্লিশ পেরোলেই সব শেষ’।


না না, ভেঙে আমি পড়ছি না
চাকরিটা তো সরকারি,
বউ,বাড়ি, গাড়ি সবই পাব
আর যা যা কিছু দরকারি ।


স্বপ্ন গুলো ভাঙতে ভাঙতে আজ-
ইচ্ছে গুলো হারিয়েছে ঠিকানা,
নিলাঞ্জনা ছেড়ে গেছে বহু দিন
তবু চাকরিটা-পড়ে পাওয়া ছ’আনা।