আমি লিখিনা বাজারের অভিজ্ঞতা আর ভয়ের ভাবনা দিয়ে,
নির্বিকার নিঃসঙ্গ এর কারণ কিনা তাও বুঝিনা
লেজ কাটা টিকটিকি,পদহারা পতঙ্গ এরা কি প্রতিবন্ধী?
বিলাত ফিরে, ফরাসীদের শিক্ষালয় মাড়িয়ে
ইসরোর প্রধান হয়ে কিংবা বার্মার রাজ ক্ষমতা নিয়ে
যেসব ফর্সা সুদর্শনা,
এদের কি প্রতিবন্ধী বলা চলে??


ক্ষমা করবেন সুধী, আমার কলম প্রতিবন্ধী নয়—
এ জোরালো দাবী করেছিলাম, শংসাপত্র ছাড়াই


ডঃ ত্বহা হোসেন, হেলেন কেলারের পন্য
সাহিত্যের বাজারের দামী পসরা৷
দৈনিকতার সাথীী জয়েন্ট বিডিও,
মফস্বল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের
আলোচনায় নোট বাতিলের ঘোট
খোড়া যুক্তিতে অবিচল, দেশ উদ্ধারের স্বপ্ন;
অগনিত প্রশ্ন তুলে দেশদ্রোহী হয় অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ৷


মাদ্রাসা বন্ধ, গোমাংস বন্ধ, তিন তালাক বাতিল, সমান ভাগ জমিতে; আরও কত ফরমান,
56 ইঞ্চির প্রবল প্রতাপে, শ্রতার করতালির নীচে চাপা—
ধর্ষিতার আর্তচিৎকার, সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ
এসব যারা দেখেনা তারা কি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়?
ইউপিএসসির একে দুয়ে মিলন;
মহাসভার নিদান, প্রতিবন্ধীর উদাহরণ নয়?


রাখাইনদের অত্যাচারিত প্রাণ, কান্নায় হাস্যধ্বনি যদি প্রতিবন্ধকতা না হয়,
তাহলে আমিই স্বীকৃতি দিই আমার কলমে—
    সমাজের, সভ্যতার, মানবতার প্রতি পরতে প্রজ্বলিত
নিশ্চিত প্রতিবন্ধকতার প্রদীপ,
শুধু শংসাপত্র দিয়ে বলা হয়নি যে,
এ উন্নতির পুরোটাই প্রতিবন্ধী ৷