এ কলম ধরা কিছুই নয়
শুধু ভিতরস্থ বিবেকের কাছে পরাজয়৷
কি পারে জমাট বাঁধা অক্ষরগুলি?
কবিতা লেখা আমার জাত ব্যবসা নয়
কারো মনোরঞ্জনের জন্য আদা-জলও গিলিনি
তাই পৃষ্ঠা কালো করাই সার—


কত বিতর্কের পাশ দিয়ে হাঁটলাম
পরাজিত করার মশলা নামাতে পারিনি
কারণ মশাল হাতে দাড়িয়ে ওরাও—
কি লাভ এ অনর্থক আস্ফালনে?
বহুমূল্যের রত্নগুলি পর্দাবৃত,
তার উপরে জমে যাওয়া ধূসর ধুলো
অল্পেতেই ডুবে যায় নোংরা পাঁকে
কর্দমাক্ত ভাগাড়ই যে বেশি;


চর্মদেহে, কর্মসংসারে আয় করা দুঃখগুলি,,,,
যদি দু-কলমে জানাতে পারতাম
তাহলে আমিই হতাম সেই কবি,
যার না থাকত পূর্বপুরুষ, না আসত উত্তরাধিকার৷
শব্দগুচ্ছের যন্ত্রণায় কাতর কবি৷
গনগনে আগুন বুকেও গলে না চোখ
শুধু ভুলে যায়— আগন্তকের অভ্যর্থনা
প্রস্থানে বিদায়ী সম্ভাষণ৷


যেখানে ব্যর্থ কলম, কবি, কবিতা
সেখানে আর কেন?
আলমীরার প্রতি তাকে, প্রতি থাকে
সাজানো অসংখ্য প্রকোষ্ঠে
তার কোন অংশই মেলে ধরতে পারেনি
আমার কবিতার খাতা, ডাইরীর পাতা


অবকাশ চাই ছুটির দরখস্তে
কলমের হিসাবটা রেখে গেলাম চিরবকেয়া৷


১৫/৩/২০১৭
দেবগ্রাম