এমন ভাগ্য পেতাম যদি
হতাম আমি কবি,
কথা দিয়ে নীল আকাশে
এঁকে দিতাম ছবি।


পূর্নিমার আলো দিয়ে
গোসল দিতাম গায়,
পুরো দিনটা কাটিয়ে দিতাম
বটের ছায়ায়।


রাতের বেলায় তারার সাথে
হতো আলোচনা,
সে সব কথায় হতো বহু
গল্প রচনা।


মেঘের ভিতর বিজলী গুলির
লুকোচুরি খেলা,
কবি হলে ওটা দিয়েই
লিখে দিতাম মেলা।


সূর্যটার ঐ উঠানামা
চাঁদের লুকোচুরি,
এসব দিয়ে হতো আমার
লেখা ভুরি ভুরি।


উঁচু মাথার পাহাড়টাকে
দেখেই মনে হতো,
মনটা আমার হতো যদি
উঁচু তাহার মতো।


দুনিয়া জোড়া সাগর গুলির
দেখে বিশালতা,
বুঝে যেতাম কত ছোট
আমার উদারতা।


মাটি অসীম সহনশীল
যখন বুঝা হতো,
ভাবনা হতো আমিও যদি
হতাম মাটির মতো।


বাতাস গুলি চির স্বাধীন
ঘুরে যথা তথা,
বাতাস দেখেই বুঝে নিতাম
স্বাধীনতার কথা।


লক্ষ কথা সাজিয়ে দিতাম
দিয়ে মনের মাধুরী,
আরো একটু লিখতে মনটা
করতো জোরাজুরি।


কথাগুলি শুনতো কথা
হতাম যদি কবি,
সারাবিশ্ব দিতো ধরা
ধরে নানা ছবি।


মহাভাগ্য হতো আমার
হতাম যদি কবি,
শতরুপে শতশিল্পী
আঁকতো আমার ছবি।