তা কবিতা কেমন,
তুমি তার বিচারপতি হও যখন,
বিবেকেরে প্রশ্ন করো, এ কেমন কবিতা তুমি করিছ বিরচন ॥
শুধু কি বিরহ ও বিষন্নতা,
হও ভাবের জগতের মরমিতা,
অনূভবে চেতনায়,
অন্যের কষ্ট বেদনাটা যেন হেথা ঠাই পায়,
জীবনের শত রুপ আর প্রকৃতির অপরুপ রঙ বাহার পাঠকে দেখিতে চায়,
প্রেমের আনন্দ সুখ অনুরাগ আর বিরহের কষ্ট বেদন, শুধু এই নিয়েই কি হয় জীবন ॥
রোমান্টিক,
তা নাহয় মানিলাম ঠিক,
কোথা গেলো আর জীবনের বাকী সবদিক,
আর কোন বেদনা নয়,
ছোট্ট এক জীবনে বলো আর কত সয়,
বিরহ বিষাদ নহে, নাই কোন ঋন হেন মোহ ও আশাহীন ভালবাসা যেন হয়,
যদি মনের কথা না বলে, প্রসন্ন প্রফুল্ল চিত্ত নাহি নৃত্য করে, আবেশে না যায় ভরে, ক্ষুধিত তাপিত তৃষিত মন ॥
আবেগ আর উচ্ছাস,
হইও না কভূ খেয়ালের দাস,
জানি সুখ নহে প্রতিদিন বারমাস,
মিটানো চাই মনের হুতাষ আর পিয়াস,
এমন বেসাতি, আলো আর ভালোর চাষ,
এ বুকে যেন হয়, পরম শান্তি সুখের বসবাস,
জীবনটা মনেহয় নহে পোড়াবন, অপরুপ সুন্দর ও শোভন এক কুসুম কানন ॥
যখন কোন অজানা হুতাষ,
ভিতরে বাহিরে ভরায় চারপাশ,
অচেনা হতাশা কিবা শূন্যতা একরাশ,
রচিতে চাহে যেন বিষাদ আর হতাশার ত্রাস,
মনে হয় যখন এমন, কেউ নয় বন্ধু সবাই দূষমন, তুমিও নও কারো আপন ॥
হয় যেন তা অ-নে-ক বড়,
দৃষ্টি আর মনটারে হেন বিকশিত ও প্রসারিত কর,
মনের গহীনে যেথা থাকা যায়, অলীকেরা নাহি খুঁজে পায়, এমন একটা প্রাসাদ গড়,
নাই কোলাহল তবে আছে কোটি লোকজন, মানূষ হওয়া চাই তব কবিতার ভাব লক্ষ্য উৎস বিষয় ও উপকরণ ॥
একসাথে লয়ে তাদেরে সবাই,
যারা নিজে খড়কূটো, জড়িয়ে তাই,
এ জগতে সুখের অভাব দেখতে নাহি পাই,
পাবে কোন না কোন বন্ধু কিবা ভাই,
সে ওতো বাঁচে হরষে নাঁচে, যার কেউ নাই কিছু নাই,
কেউকি লোকের করুনা যাচে, কোথাও না কোথাও হবেই ঠাই,
চলোনা দেখিতে যাই, কে কেমন আছে, কোথায় কি আছে কি নাই,
নতূন কিছু যদি খুঁজে পাই, কবিতায় লিখিব তাই, আহরণ সম্ভার আর কতবড় এ বিশ্বটার পরিধি ও আয়তন ॥
খুবই ভাল কাটিবে সময়,
জীবনটাতো ফুলের বিছানা নয়,
না পেলেও বড় কিছু নেই ক্ষতি পরাজয়,
সেইতো এক বিজয়, অনেক পাওয়া যদিরে হয়,
পথ খুঁজে পেলে হলে দরশন, তব এমন কবিতা লিখন, পরের ভালোর তরে ক্ষুদ্র কোন সামান্য সৃজন ॥
নাবলা কষ্টের পেতে অবসান,
যেথা ফুল ফোটে পাখীরা গাহে গান,  
খোলা আকাশ উদ্যান, কোন সবুজের মেলায় হও মেহমান, কর তা ভ্রমন, পঞ্চ ইন্দ্রিয় ভরে সে সুধা আহরণ ॥
ছাড়ো আমিত্ব ও বড়ত্বের বড়াই,
আর তোমার কোন কষ্ট কিবা আপদ নাই,
যখন কোন তফাৎ নাই, দেখিবে কেউ নহে আর তব দূষমন, সবাই সুজন আর তারা তোমার কত আপন ॥
যদি ভাল না লাগে ফুল,
তোমার জগতে আঁধার অকূল,
পথটা হয়ত হবে নানা আপদ শংকুল,
ক্রোধ ও আবেগে হয়ে যেতে পারে কোন ভূল,
না যদি পার বিরচন, তবে কর এমন কোন কবিতা পঠন যেন মিলে সান্তনা ও হয় কিছু তার প্রসমন  ॥
কিছু নেই আর কেউ নেই যার,
বুকভরা অস্ফুট কান্না, তবু কেউ শোনেনা সে হাহাকার,
নিলে সামান্য ভাগ তার, আলো নেই আর কোন ভাল নেই শুধুই আঁধার আর আঁধার,
কর আলাপন,
পাশে রও ক্ষনিকের সংগী হও আপনের মতন,
নাহয় হলোইবা তা অভিনয়, প্রতিদিন, কমবে কিছু রাজার ঋন, যদি বাস্ধব  হও তাদের পাশে রও কিছুক্ষন ॥
যখন কোন কষ্টের বান,
করিতে চাহে ওরে পেরেসান,
বেছে নিও ফুল কবিতা ও গান,
রুপসীর রুপ চুপ করে করিও পান,
তারা সবে ভাগ লবে তব হবে যাতনার অবসান,
বনের সবুজ আকাশের নীল ঝর্না ও নদীর কলতান,
হতবাক হয়ে ভাবি, জগতের এত রুপ সুধা আকন্ঠ করা পান,
সেইতো আমার মনটারে সতেজ করে, যবে হয় ক্লান্ত ও ম্রিয়মান,
যদি শেষ না হতে দেখা ও লেখা হয়ে যায় মম এ জীবনের অবসান,
আমার এ দায়টুকু ভাই, দয়া করে তোমরা সবাই, করো যেন তাই ঠিকঠাক সমাপন ॥
তব কবিতার সুধা ও ঘ্রান,
সেইতো আমার উম্মোখ পঞ্চ পরান,
নিঝুম রাতের পুকুর ঘাট, গাছের ছায়ায় খোলা উঠান,
বৃষ্টির রিমঝিম কলতান,
এই সব কিছুরে করে কবিতার উপাদান,
ভাদরের ভরা, উদাস আকূল করা, ঐ মদির জোছনাখান,
ভাগাভাগি করে নেব জীবনের যত ভাল কি মন্দ, সে আনন্দ আমি সবারে করিব দান,
এনে আঁচলে করে, পারলে কবিতায় দাও ভরে, প্রকৃতির নেয়ামত আর সহস্র রুপের সে অপার আয়োজন ॥
বসিবে যেদিন যে বেলা,
মোর আংগীনায় কোটি কবি আর কবিতার মেলা,
ফুলেদের হাসি, সুধা ও সৌরভ রাশিরাশি আর পাখপাখালীর নাঁচন খেলা,
অ বোন ভাইজান,
যদিরে কভূ মন চায় ও সময় পান,
যদি মনে পড়ে, তবে দয়া করে, মম পাতার কুটিরে একবার হবেন আমার মেহমান,
ডালভাত যা থাকে মোর হাড়িতে, এসে একসাথে বসে খাবেন মোর বাড়ীতে, রলো সে আগাম নিমন্ত্রন ॥
যদি সবই রবে,
তবে সবইতো হবে,
শুধু একটাই শর্ত তবে,
চাই অতল সাগর গহীন হৃদয়, খোলা উদাস অসীম আকাশ মন,
অ ভাই কাব্য লেখার আগে,
তোমার ভিতরের ঐ আসল মানূষটা যেন জাগে,
রাখিও স্বরন, মানূষ তোমাকে হতেই হবে ঠিক তেমন, যে ধাঁচে যে আশায় বিধাতায় করেছে সৃজন ॥
মনেতে দোল খায়,
যেন পা হতে সব পাঠক মাথায়,
তাড়না দেয় ও তাড়ায় সুখ খুঁজে পায়,
চোখে মোখে মগজে বুকেতে ও সারা গায়,
অন্যরকম একটা ভাল লাগার আমেজ লেগে রয় বয়ে যায়,
যেন মুছে না যায়, স্মৃতির অতল আয়নায়, কভূ তার মরমী দরদী বিনোদন শিহরণ আবেদন ॥
তবু এত সোজা নয়,
যদিও জীবন ছন্দেভরা কাব্যময়,
মানূষের মন ভরা, অভিভূত কিবা করা জয়,
তার দরশন পেতে,
একই পথে চলিতে রহিতে হবে মেতে,
চাই অনূক্ষন,
অনূকরণ অনূসরণ,
কায়ঃমন নিবীড় গবেষন,
নাহলে ভাগ্যে নাই,
দূর্লভ ধন কেমনে বলো পাই,
ওরে মন, জানা প্রয়োজন, সাধনা বিনা কভূযে কোন ধন, মানিক রতন হয়না সাধন ॥
মানূষের চোখ ও মন,
সারাক্ষন যেন করে অন্বেষন,
কবিতা ও গান যেন একই কথার অনূরণ,
একই মায়ের পেটের ভাইবোন তারা দুইজন,
চাহে কিছুনা কিছু সুখ শোভা সৌরভ রস বিনোদন,
গান শোনে কবিতা পড়ে,
মনটা যদি ভাললাগাতে না যায় ভরে,
না পেয়ে মনের বল, যদি ক্রোধ আবেগ মোহ ভূল হয় প্রবল,
কিসের কবিতা তাহা, না পেলে সান্তনা উৎসাহ প্রেরণা, যদি বয় অবক্ষয়ের ঢল,
পন্ডশ্রম তব সৃজন, তারচে ভাল বিজন বন, মরম যাতনা দুঃখের দহন না যদি হয়, না করে দূরীভূত প্রসমন।
এসো যাচাই করে দেখি,
পারলে নাহয় একটা ভাল কবিতা লেখি,
কি আছে তাদের তরে,
তোমার লেখার ভাবের ভিতরে,
কবি ও পাঠক যদি না চিনে নিজেরে,
পথ খুঁজে না পায়, কানন সম সোনালী জীবনখান হয়ে যায় বিরান যেন এক ধূসর পোড়া বন ॥
কবিতা কেমনে হয়,
আগে জানি কবিতা কারে কয়,
শুধু কিছু ছন্দ হলেই কি তা কবিতা হয়,
কিছু শব্দ ও বাক্যের সমাহার সেওতো কবিতা নয়,
কবিতা কেমনে হয়, না থাকে যদি তাতে শ্রষ্টা ও সৃষ্টির পরিচয়,
জীবন ও প্রকৃতিকে নিয়ে না হলে লেখা আমি তারে কবিতা কহিতে রাজি নয়,
শুধু প্রেম বিরহই যদি পূরোটা জীবন হয়, তবেতো কাব্যের নিশ্চিত ভরাডুবি ও পরাজয়,
চাই ভাবের জগতে মন ও মনন হোক আরও পসর,
তৃতীয় নয়ন আরও অসীম ও গহীন দিগন্তহীন সুপ্রসারিত পরিসর,
কবির সৃজন হবে মহিমাময়, কবিতা সুন্দর ও সে নিজেও হবে ও তবেই রবে অমর,    
অহরহ একজন কবি,
পরম দরদে তার কলমে আঁকেন জীবনের ছবি,
মরমের শিল্পী ও নিঁপূন কারিগর, কোটি মানূষের মনের নাবলা গোপন কথা,
সুখ দুঃখের ভাগ্য লিখন নিয়তির ফের, মোহ ও মায়ার জাল মিথ্যা মন্দ ও ভূলের ঘের, ঐ সব বারতা,
অনটন যাতনা পীড়ন র্হষ বিনোদন,
জীবনের সহস্র রুপ, প্রকৃতির শত রঙ ও অন্তরালের অদেখা দহন,
কবিতা মানে ক্ষুদ্র চোখে অসীম অবলোকন, অনূভবে চেতনায় আত্বার জাগড়ন ও বিকশন ॥
প্রেম মানে নয় শুধু হতাশা আর বিষাদ,
তবেকি জীবন মানে কুহেলিকাময় এক জটিল ফাঁদ,
র্ব্যাথ প্রেমিকের কাছে, হতে পারে রুক্ষ কর্কশ গদ্য কবিতাও এক পরম প্রসাদ,
সৃষ্টির মাঝে বাঁচিবার প্রয়াস বেশীদিন,
তা হতে পারে তোমার মানূষ রুপে জন্মটার দায় ও ঋন,
আবু হকে বলে, ভাল কি মন্দ বিধাতার হলে পছন্দ তা অনন্য তুমিও ধন্য আর মহান তোমার সৃজন ॥
চাই চীর সত্য বাণী,
যে আমরা তার যেটুকু জানি,
বলব, শোনব, আনব, চলব তুলে ধরব টানি,
এমন অমূল্য পাঠ, বাণী ও বচন করব ঘরেঘরে জনেজনে বিতরণ,
যেন অসীমের সনে সীমা আর আত্বার সনে পরমাত্বার হয় সাক্ষাত মিলন ও কিছু প্রিয় কথোপকথন ॥
শুধু নহে কল্পনা কিবা নহে মিথ্যে খোয়াব,
চাই জীবনের এমন কিছু উন্নত ও উদার রুচিশীল চিন্তা ও ভাব,
কি কহে বা কিবা কহিতে চায়,
হয়ত আসলে নিজেরও তা অজানায়,
সাধারন পাঠক কেন তা বুঝিতে বড়ই কষ্ট পায়,
র্অথহীন, পাগলের প্রলাপ সম যেন হয় কভূকভূ ধারনায়,
যেন এক যাযাবর পথিক, মাঝ মেঠো পথে গিয়ে দিক, কিবা গন্তব্য ফেলেছে হারায়,
স্বাদ মজা ছন্দ গন্ধ তার নেই যেন এক তিল,
মনেহয় যেন এক বিজন জলহীন ধূসর পোড়া বিল,
বিচ্ছিন্ন বা আলগা আলগা ভাব, বাক্য বিন্ন্যাসেও নাই মিল,
হেন বাক্য বাণ, মনেহয় যেন কেউ ছুড়ছে শূচালো পাথরের ঢিল,
যেন তার শব্দ দূষনে বিরক্ত প্রাণ, এখনই না গেলে শেষে হয়ত খেতে হতে পারে লাথি কিল,
এমন পিঠা নেই যেন তার রস কষ একেবারে শুস্ক বিরস,
তবু যেন তার বিক্রেতা কহে, এটাই মধুমাখা সেরা উত্তম ও সরস,
ঝলসানো আটারুটি, যেন চেপে ধরে টুটি, খেয়ে কি কেহ গাহিবে যশ, হতে চায়না যাহা গলধকরণ ॥
এমন কভূ না হয় যাতে,
তোমার লেখনী নহে কারো মন যোগাতে,
মুক্তো মানিক কণা ধূলিকাঁদা মাখা আধারে ঢাকা মর্তে ছড়াতে,
রাখিও স্বরন, যেন তা হয় এমন, পারে যত অস্থীর মন জুড়াতে কিবা ভরাতে,
ছেলে বুড়ো বালিকা বৃদ্ধা যত প্রেমিক যূগল ও বিরহীগন যেন সবাই আপনাতেই হরষে মাতে,
পছন্দ না হলে আমার বচন,
চলো তুমি ভাই, তোমার খেয়াল মতন,
ব্যান্ড সংগীত ও বিরস গদ্য কবিতা তারা ভাই দুইজন,
কোনঠাসা হয়ে, হতাশা বুকে লয়ে, কেজানে কার কখন হয় অকাল মরন,
না পেলে আসন, না হলে তা লোকের মরমে স্থায়ী,
রেখো স্বরন, যার বূনন যে করেছে তা সৃজন সে ইতো আসলে তার লাগি দায়ী,
জেনো, পাঠকের মনে বেশীদিন পাবেনা ঠাই,
এক কানে প্রবেশ ও শ্রবন, অন্য কানে যাবে তা সহসা পালাই ও হারাই,
মনে রেখো ভাই, কবিতা নহে কোন কবিতাই, না হলে এমন আমি তার রুপ বলেছি যেমন করেছি বর্নন ॥