হৃদপিন্ডে চাপাতির কোপে বিচ্ছুরিত রক্ত
রক্তের স্বাধীনতার উচ্ছাসের বাঁধ ভাঙা ঢেউ;
ঢেউয়ের অবারিত রক্তকণায় প্লাবিত শরীর—
শরীরের জমেছে মৃত ভালোবাসাময় রক্তদাগ !


রক্তদাগের উপরে ধীরে ধীরে কালচে মাটির রঙ,
রঙের বীভৎষতায় পড়ে আছে প্রেমের ধ্বংসস্তুপ;
ধ্বংসস্তুপের ভিতরে চেয়ে দেখো একবার অবনী—
অবনী, দেখো একবার পড়ে আছে প্রেমের কঙ্কাল !


কঙ্কালের জীবন তো ছিলো না এমন প্রাণহীন,
প্রাণহীন নিথর দেহেও ছিলো  প্রেমের জীবন !
জীবন সেই জীবন, যেখানে এসেছিলে তুমি !
তুমি সেই তুমি, যাকে ভালোবেসেছি আমৃত্যু !


আমৃত্যু যন্ত্রণার সাক্ষী হয়ে আছে যে কবিতা—
কবিতার ভিতরে; শব্দের ও বর্ণের ভালোবাসা !
ভালোবাসায় আবদ্ধ ঘরে ছিলাম আমরা দু'জন
দু'জনার বুকে ছিলো হৃদপিন্ডের ক্রমাগত কম্পন !


কম্পনের আঘাতে আঘাতে বিচ্ছুরিত স্বপ্নগুলো—
স্বপ্নের মতোই ঝরে পড়তো আমাদের হৃদয়ে !
হৃদয়—  অথচ তোমার হৃদয়ে নেই আমার অস্তিত্ব;
অস্তীত্বহীন অস্থি-মজ্জাহীন আমার বুকে সেই তুমি !


তুমি সেই তুমি; একদিন— একেকটা দিন; রাত-দিন
দিনের আলোয় মুছে দিচ্ছো আমার অন্ধকার !
অন্ধকার সেই অন্ধকার; যেটা আমার ভালোবাসায় ভরা
ভরা বর্ষার জলে মুছে দিলে আমার প্রেমের শেষ স্মৃতি !


স্মৃতির দৃশ্যপটে তুমিও তো ছিলে বড্ড বে-খেয়ালী
বে-খেয়ালীপনার ভিতরে তোমার হাতে কেনো চাপাতি
চাপাতি ঠিক সেই চাপাতি ; যার আঘাতে আঘাতে—
আঘাতপ্রাপ্ত হৃদপিন্ডের প্রেম হয়েছে আজ মৃত কঙ্কাল !