আমার বেঁচে থাকা, মরে যাওয়া, সফলতা-সার্থকতা অথবা অস্তিত্বে
কার যায় আসে, কার যায় আসে না কী দরকার জেনে, না জেনে?


কে আমাকে কথা পাঠাতে বলে, কে কবিতার কথা কুড়িয়ে নিচ্ছে  পথে পথে
কে আমার জন্য স্পেস তৈরি করেছে আর কে আঁকড়ে ধরে ডুবে যাচ্ছে
আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমি পাল্টে ফেলেছি অভ্যাস, দ্বিধা-মায়া
এখন আর আগের মতো মনে হয় না, কিছু হয়ে যাওয়ায় ভেঙে যাওয়ায় চাপা কষ্ট লাগে না।


ঠকে যাব জেনেই ঠকেছি, দায়ী করি না কাউকে, নিজেকে কৃতিত্বও দেব না বেঁচে থাকায়
কতবার পড়েছি-মরেছি-উঠেছি গণনা করি কীভাবে
জানেন তো ব্যবহার থাকলে দুর্ব্যবহার থাকে, আসা থাকলে প্রস্থানও আসে
বিশ্বাস ভেঙে দুম করে হারিয়ে যাওয়ায় কপালে জোটে, সব মেনে নিতে হয়।


এখন আর তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে না,
ইচ্ছে করে না দু'লাইন লিখে পাঠানোর অনুনয়-বিনয়ের
মন ভালো থাকলেও না, ভালো না থাকলেও না, ভেঙে পড়লেও না
ইচ্ছে করে না তোমাকে লিখি ' কিছু কথা পাঠাও না! কথা! তোমার কন্ঠ।
ইচ্ছে করছে খুব! খুব ইচ্ছে করছে। লিখে লিখে ব্যাকস্পেস চেপে ধরে কাটি না
ইনিয়েবিনিয়ে লিখতেও ইচ্ছে করে না, সত্যি আমি নেই ভালো নেই
জানতেও ইচ্ছে করে না, তুমি কেমন আছো?
এখন আকাঙ্খা নেই, নেই ভালো রাখার বাড়াবাড়ি, তীব্র স্বেচ্ছাচারী প্রেমিকরূপ।


নিজের জন্য জানালা খুলেছি, অদৃশ্য জানালা
জমিন কিনেছি একা থাকার, একা থাকার অভ্যাসের চারপাশে অনেক স্পেস
তুমি বলতে, ভালোবাসতে শিখো, ভালোবাসলে সম্পর্কের স্পেস রাখতে হয়
স্পেস, ব্যাক্তিগত স্পেস জিরো আওয়ার, দূরত্ব, নিরাপত্তার দেওয়ালে পর দেওয়াল
পুরো জীবন জুড়ে।


স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার পবিত্র মিথ জুড়ে ডুবে মরার পুরস্কার কিনা জানিনে
আমার একা থাকা মানে আমি একা, আমি এখন বয়েসী মানুষ
বয়েসী মানুষের আবেগ থাকতে নেই, এখানে পলে পলে বাস্তবতা খেলা করে
এখানে বেঁচে থাকার লেখালেখি চলে, পবিত্র মিথ বুকের ভেতর বাহিরে।


০৭/০৩/২০২৪ খ্রি.