উইপোকা'র বাসাগুলো স্তূপ জমাবে
দূর থেক মনে হবে এক চিলতে মাটির ঢিবি।
চিরচেনা অবহেলিত কিছু বুনোফুল
শিরশিরে বাতাসে দোলাবে মস্তক,
কখনো গন্ধ বিলাবে গ্রাম্য বকুল,
সুর ছড়াবে বাতাসে দোল খাওয়া বাঁশঝাড়,
পাশের পুকুরটায় দুয়েকটা চাষের মাছ
হয়তো গাঁই মেরে উঠবে খানিক পর পর।
ক্লান্ত পথিকের ক্লান্তি বাড়াতে-
দুচার বার ডেকে উঠবে সংসারী ঘুঘু।
ঘন ঝোপঝাড় ভেদ করে মাটি ছুঁয়ে যাবে
রোদের দু-এক পশলা কিরণ।
কখন নাববে সন্ধ্যে টের পাওয়ার ঠিক আগেই,
ঘোর পাড়ের প্রতিবেশি'র ঘরে
জ্বালবে কেউ সাঁঝ পিদিম।
মাগরিবের ঘনঘটায় গ্রাম্য অন্ধকারেরা
ঝেঁপে বসবে আমার মাটির ঘরখানায়।
জোসনার পশরা বসাবে হয়তো লাজুক চাঁদ,
ঝি ঝি পোকারা রোজকার পঞ্জিকায় ধরবে গান।
যত্নে বেঁধে দেওয়া বাঁশের বেড়া ততদিনে পচে যাবে
খসে পড়ে হয়তো মিইয়ে যাবে শেষ চিহ্নটুকুও।
এভাবে কেটে যাবে কয়েক সহস্রাব্দ হয়তো-
কারও ফুরসৎ মিলবে না নিতে আমার খোঁজ,
কেউ আগ্রহভরে জানতে চাইবেনা-
কেমন যাচ্ছে আমার এপার জীবন...