টাইমলাইন স্ক্রলের মতো করে জীবনটাও ধীরে ধীরে স্ক্রল হচ্ছে
আমি যদিও চাই থেমে থাকুক সময়, তবু লাগামহীন গতি নিয়ে ছুটছে সে
আমার জীবন, আমার হায়াৎ, আমার মউত কিছুই বিলম্ব হবে না নিশ্চিত—
শুধু অনিশ্চিত আমি আমার গন্তব্যের ব্যাপারে!


আমার নিত্যি পাপ, ঘোরে কাটানো জীবন
বৈশাখী হাওয়ায় উড়ে চলা শিমুল তুলার মতো বেখবর।
যাচ্ছি কোথায়? এপথ কী আমার? উদ্দেশ্য কী জীবনের তবে?
আমার উত্তর খোঁজার অবকাশ মেলে না।


দীর্ঘ এক অগোচালো জীবন নিয়ে-
‘কাল থেকে ভালো হয়ে যাবো’ নামক মিথ্যে আশায় ডুবে থাকা।
অথচ আমি জানি এমন কতোজন পায়নি তাওবার সুযোগ,
এমন কতোজন দু’পা অন্ধকারে দিয়ে ফিরে আসার সময় পায়নি।


আহা! জীবনের নাট্যমঞ্চে শুধু নিজেকে ছাড়া সবাইকে নিয়ে ভেবে ভেবে-
কতো উদাস সময় পাড়ি দেওয়া হয়ে গেলো।
রাত-বিরাতে আফসোস জাগে কেবল, কিছু করা হয়ে উঠে না-
এমন করেই যদি দম আটকে যায়? দরোজার ফাঁক গলা বাতাসে না থাকে আমার অংশ!


স্ক্রিনে ভাসমান আমার আমলনামায় স্কন্ধবাসী চালায় শেষ কলম
ইল্লিন-সিজ্জিনের বোঝাপড়ায় যদি আমাকে ছুঁড়ে ফেলা হয় হিসাবের খাতাসহ-
কী হবে উপায়! এই রামধনু আঁকা জীবনটার কী তবে সার্থকতা?
এ জীবন তখন কেবল হায় আফসোসের কারণ হবে, যে আফসোস ফুরাবে না আর।