ধুলোর স্তরে ঢাকা পড়া স্মৃতির বইটা
পাতা গুলো উল্টাতেই স্মৃতির মলিন ভাঁজ থেকে ভেসে এলো গোলাপের সৌরভ,
পাপড়ি গুলো এখনও গোলাপী
সুরেলা কুসুম গুলি মনের জমিনে আজ  তাজমহল।


ত্রিশ বসন্তের শুভলগ্নে ছিলো শীতের আমেজ
সূর্যটা সবে যৌবনের কোটায়
বাইকের পেছন থেকে আমার ঘাড়ে চিবুক রেখে ,কত কথা বলেছিলে
মাঝে মাঝে আমার গালে পাপড়ি ছুঁয়ি বলেছিলে,
ও সোনা!আর কত দূর?
আমি বলেছিলাম,সামনে ঈষত্ শীতের ছোঁয়া আর পেছনে উষ্ণতা,
রাস্তা না শেষ হলেই........।
তুমি নকল হুমকি দিয়ে ঠেলে বাহুডোরে আটকে বলেছিলে,
রোদ ছিটানো কদম তলে তোমার বুকের উষ্ণতা মাপতে আমি থার্মোমিটার হলে.....।
শুনেই আমার বুকের পারদ লাফিয়ে ছিলো,
মোটরের কাঁটা তখন একশো কুড়িই  
তারপর নিস্তব্দ কাননে স্বপ্নের জালে রূপালী ইলিশ
গনগনে আঁচে রুটি সেঁকার ব্যস্ততা
পাশের বাগানে তখন প্রজাপতির আনাগোনা
মৌমাছিদের মধুর মোহে গুনগুন
মনের বারান্দায় কপোত-কপোতী
তোমার ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা ভাজা  মুগডালের দানাটা ঠোঁটে করেই........
আমার বুকের পাঁজরে তোমার রিনিঝিনি
হাত দুটো আমার কেশরাশিকে .....।
সূর্যটা কখন পশ্চিমে ঢলে পড়ল
কদমের গন্ধে স্বপ্ন গুলো স্নান করল।


সময়ের স্রোতে কত আঁকিবুকি কেটেছি
কত ফুলের বাগানে রঙ্গিন হয়েছি
সমুদ্রের ঢেউ মেখেছি দুজনে


তারপর
বেকারের আঁশটে গন্ধে পচা লাশ
অভাবের আগুনের ফিনকিতে সেদ্ধ হল প্রেমের কুসুম
বাড়ির উঠানের আগাছা বারান্দায় উঁকি দিলে কি শোভা পায় ?
তোমার বাবা বললেন,
ও চাকরি বাকরি করে না,
তোর স্বপ্ন গুলো নিল লিটমাসে লাল হয়ে যাবে
সভ্য সমাজের ফুলদানিতে বনের সুগন্ধি ফুলও বড় বেমানানরে মা
আমি নতুন গোলাপ চারা এনেছি
পুরাতন টবের আগাছা মুক্ত করে রোপণ কর।
আজ তুমি
নতুন সরোবরে পদ্ম হয়ে বিকশিত।


আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে
আজও
শুকনো গোলাপের তোড়াটা আমার হাতে
বাইকের সিটে তোমার আতরের গন্ধ  
বুকের পাঁজরে তোমার শ্বাসের শব্দ
আমার চুলের গোড়ায় তোমার স্মৃতির  শিহরণ
আমি .....আজও
স্মৃতি হাতড়ায়
পুরানো পাতার বাঁকে খুঁজে চলি
আমার  ইতিহাসের স্বর্ণযুগ।