পলাশীর আমবাগানে পঙ্গপালের হানায়  অস্তমিত হয়েছিলো নিজেদের অধীনতা,
শ্বেতাঙ্গদের লালসার জালে আটকে প্রাণটা কীটের মত ছটফট করছিল
প্রাণের বেড়ি কেটে বেরুবার তীব্র প্রয়াসে তাজা প্রাণ বলি হয়েছে শতশত
কত দম্পতি দাম্পত্যের ঐশ্বর্য থেকে হয়েছে নির্বাসিত
কত মায়ের বুক শীতল হবার আগেই জ্বলে উঠেছিলো দাউদাউ করে
ফুলের পাপড়ির মতই স্বজন হারানোর ধারাবাহিকতার আর্তনাদ বাতাসে
ক্ষুদিরাম বিনয় বাদল দীনেশ সূর্য ভগত আরও অনেক তারা পড়লো খসে
সম্রাজ্যবাদের কষাঘাতে।


একদিন জেগে উঠল শোষিত-নিপীড়িত-সর্বহারার সন্তানরা
মায়ের বুকে আশ্রয় আর অধিকারের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিল তারা,
আকাশে ধ্বনিত হয়েছিল মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর রণহুঙ্কার
বাতাসে বাতাসে বয়ে গেল বিদ্রোহের চোরা স্রোত;
সংগ্রামের হোমাগ্নিতে স্বপ্নের আহুতি দিতেই সাফল্যের শিখা জ্বলতে শুরু হল।


আমরা সাফল্য পেলাম তবে
বুক চেরার দাগটা আজও দগদগে
গুলির দাগ গুলো আজও চুলকায় ,
রক্ত পড়ে
কোষের মৃত্যু হয়
দালালদের হিংস্র থাবায়।