মেয়েটি বসে বসে ...
হাতের মুঠোয় তার পুষ্করিণী
তাতে উঁকি দেয় এক সদ্য অর্ধ ফোটা পদ্ম
চোখে নীল আকাশের হাতছানি,
মুখে বেল-জুঁই-শিউলির আবেশ
পতাকার মত পতপত করে উড়ছে কেশরাশি।


ফুলের দেশের ইশারা তার সারা ত্বকে
রোমরাজিতে তার ঝর্ণা ধারা বয়ে চলে,
জলের মত মধুর স্রোতের দাগ সারা চাতালে
সোনার গহনার মত ঝিলিক তার অবয়বে।


আমি দেখছি আর ভ্রমরের মত গুনগুন করে ঘুরে চলেছি
সে ফুলের মতই নীরবে শোভন দিয়ে চলেছে,
বসবার বাসনা নিয়ে কাছে যেতেই
একটা উঠকো বাতাস আমাকে বাধা দিয়ে বলে-
ফুলের পবিত্রতা দেখো
সৌন্দর্যে দিশেহারা হও,
সুবাসে বিভোর হও
কিন্তু ওর উপরে বসনা;
গুড় খেতে আসা পিঁপড়ের পরিণতি জানো!
ওর পাপড়ি থেকে পুষ্পরস চুয়ে পড়লে...
ও ছেলে সাঁতার জানোতো?