ষষ্ঠীর দিন পূজামণ্ডপে একটা সাদাবাসের
ভেতর থেকে দুপদাপ নেমে এল জনাকয় মহিলা ও ভদ্রলোক
মা তুমি, পিসি, কাকিমা সবাই ফিসফিসিয়ে বলে উঠলে , 'এক গাড়ি পাগল !' তা যাই হোক-
আমরা সবাই সিঁটিয়ে গেলাম ভয়ে ।
রাণুপিসি তো কাউকেই না বলে কয়ে
সোনাই দিদির হাত খামচে উল্টোপথে ছুট
আর আমি বরাবর এক ই বেয়াকুব -
একটু বেশী কৌতুহলে দু'চোখ ছানাবড়া করে
ভাবতে বসলাম সেদিনের দেখা সেই ছবিঘরে
পাগলির দল উকুন বাছে, পাগলের টানাটানি
গায়ে গোটা কাপড় কখনো লোটায় কখনো টুকরো কানি
ঠাকুর প্রণাম করতে ওরা যেই বুজেছে চোখ
ওদের মুখে দেখেছি একটা মিষ্টি স্বর্গলোক
লুকিয়ে কথা শুনতে তাদের বাড়াতেই এক পা
তুমি ইশারায় জানিয়ে দিলে, 'টুপুর বাড়ি যা'
ফিরে এসে একদৌড়ে চিলেকোঠার ঘরে
একরাশ ধূলামাখা বই এর স্তুপের ভিতরে
মা এর কথায়, আমার ছোটকা পাগলামি করে ।
অনেক ভেবেও বুঝিনি তখন পাগলামি কিসে হয় !
সুস্হ কাকাকে বন্দী বানানো পাগলামি তাকি নয় ?
তোমার বারণ না শুনেই তাই কাকার ঘরে ঢুকি
মাগো , কাকার যতো গল্পকথা আমার তো ওইটুকুই !
কাকুকে সেদিন প্রশ্ন করি, 'ওই মানুষ গুলি কারা?'
মা বলল বদ্ধ পাগল, সত্যি পাগল তারা?
কাকা আমার সবজান্তা, জ্যান্ত খবর খায়
বাবার হুকুমে পাঁচটা কাগজ কাকুর ঘরে যায়
কাকুর মুখে শুনলাম সেই পাগলমানুষ কথা
সব সত্যি ঘটনা জেনে ঘুরে গিয়েছিল মাথা
ওরা নাকি একদার পাগল ,আজকে চিকিৎসায় সুস্হ
পরিজন তবু ফিরিয়ে নেননা,সমাজ পর্যুদস্ত
ডোরাকাটা দাগে নাম্বার ডাকে ওরা গারদের বন্দী
এই দাগ মোছাবার ভ্যানিসিং ক্রিম বের করবার ফন্দী-
কাকার সাথে একটু করে ভাবতে থাকি
ওই মালা, সুভাষ, প্রসূন বা আরতি-
পুজোর ক'দিন , অনেকদিন পর.
আহ্লাদ যাও জুটল
দশমীতে ফের বন্ধআগলে নামানুষি ছোঁয়া ফুটল
মাগো... পাগল আসলে কারা ?
সুস্হতা ফের অসুস্হতায় ...দায়
বর্তে নেবেকি যারা?
কাকাকে আমার পর করতে ওজোর করেছ জমা
তুমি, পিসি, কাজের মাসি ,মায় ছোটো কাকীমা !
কি হবে সেদিন ?কাকাও যদি পাগল হয়ে পাগলা গারদ যায় ?
অপরাধ তার ... মরণাপন্ন রোগিকে রক্ত দিতে এইড জীবাণু এসেছে গায় !