মামুলি ও সেকেলে
কোনো এক বিকেলে
পাথুরে পাঁচিলে বসে
তর্জনী তুলে কষে
শাসিয়েছো, "এই শেষ
একাই থাকাটা বেশ।"
দু'ফালি রূপোলি চুলে
চাঁদ তার মায়া ভুলে
ঢেলেছিলো কোজাগরী
আমিহীন জলপরী
ঝিলিমিলি সিল্যুয়েটে
দ্রুত পায়ে গেলো হেঁটে।


মামুলি ও সেকেলে
প্রেম দুই পা'য় ঠেলে
রওনা দিলো বহু দূরে
আর জলাভূমি জুড়ে
বুদবুদ অবিরল
ফোঁটায় ফোঁটায় জল
টলোমলো সেই রাতে
পুতুলের হাতে হাতে
খোঁজ করে ছেলেখেলা
কেন এতো অবহেলা!
বিষ দংশন গুটি
শুরু করে খুনসুটি।


মামুলি ও সেকেলে
ধাতব গড়িয়ে চলে
বেপরোয়া খুঁটে খায়
অক্লেশে যাই পায়
সাত থেকে সত্তর
সব দেহ একদর
হেরে যাওয়া মগজে
সেই থেকে সহজে
গজিয়েছে নখ,দাঁত
এলে কোজাগরী রাত
মেতে ওঠে পিকনিকে
ঘেন্নার দশমিকে।