এভাবেই একদিন বেরিয়ে পড়বো,
শহরের রাস্তার ধুসর আকাশ ছাড়িয়ে,
দূরে বহুদূরে কোনো এক অজানাই।
যেখানে কৃষ্ণচূড়া আর শুভ্র মেঘগুলি,
মুখরিত হবে আনন্দ উৎসবে।
ঘোর লাগা জলস্রোতের বুকে,
বিকালের সোনা রোদ এঁকে দেবে,
মহুয়া ফুলের আগুন লাগা উল্লাস।
সেই মেঘ মোদির মহুয়ার দেশে,
আমি ক্লান্তিহীন ভাবে সবুজের মাঝে ,
তোমার হাতের মুঠোয় এঁকে দেবো,
কিছু চকিত স্বপ্ন আর ভালোবাসা।
নন্দিনী তোমার ওই মায়াবী চোখেই,
এলোমেলো হয়ে হারিয়ে যেতে চাই,
ভরা চাঁদের ন্যায় উষ্ণ চিবুক হতে,
কুড়াতে থাকি আমি তাঁর জোছনা ।
শাল হিজল তমাল পলাশ শিমুল,
অশ্বথ বটে ঘেরা সেই মহুয়ার দেশে,
আমি এক সোনাঝরা সূর্য হয়ে,
ধুসর ঘন কালো অন্ধকারের মাঝে ,
তোমার ওই কৃষ্ণচূড়ার মত,
টুকটুকে ললাটে এঁকে দিতে চাই,
কামনার যত সুপ্ত ইশারা।
পেস্তাচেরা তোমার ওই চিরচেনা চোখে,
নদীর জলে বসন্তের বাতাস হয়ে,
গভীর স্নেহে বুনে যেতে চাই,
তোমার ওঠরের সেই স্তিমিত হাসি।
আমি মহুয়ার দেশে তোমাকে নিয়ে,
যুগের পর যুগ হারিয়ে যেতে চাই,
একটু সুখ শাস্তি ভালোবাসা আর,
সুস্থ পরিবেশে আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই!