জানি না কেন নন্দিনী,
এতটা পথ পার হয়ে এসেও
অনুভব করি শুধু শূন্যতা!
বিস্মৃতির অতল গহ্বরে আমাদের
তলিয়ে যাওয়ার কথা ছিল
আমি গেছি, তুমি কিন্তু যাওনি।
আজও আমার মনের আকাশে
তুমি শুকতারার মতই উজ্জ্বল।
মেলার মাঠে জমে থাকা ভিড়ে,
আমাদের হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল,
আজও যাওয়া হয়ে ওঠেনি!
দীর্ঘ বিষণ্ণ দুপুর কাটিয়ে.
আজও তুমি আছো মনের সংগোপনে।
আমাবস্যার অন্ধকারে তো!
আমাদের হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল!
কিন্তু যাওয়া আর হল কই আজ অব্দি ?
এত আঘাতের পরও,
একফালি চাঁদের মত জেগে আছো।
বসন্তের পাতা ঝরার মত আমরা
ঝরে পড়বো এই কথাই তো ছিল?
তবে কেন ঝরে যায়নি আমরা?
শীতের কুয়াশা মাখা সন্ধ্যায়!
বাড়ির ছাঁদ হতে আসন্ন মনে যখন
নারকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দেখি!
তখন তুমি সন্ধ্যাদীপ হাতে ।
আমার নাকে এসে লাগে
কর্পূরের মত উদ্বায়ী প্রেমের গন্ধ।
সমস্ত জড়তা ছিন্ন করে কি আজ
আবার আগের মত নিজেকে
সঁপে দিতে পারবে দ্বিধাহীনভাবে?
আরও একবার কি তুমি
তোমার নিজের মুখে
উচ্চারণ করবে
তোমার যত ভুল?
জানি গো সখি জানি !
যদিও আজ ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।
কেননা তোমার-ই ছলনায় প্রতারিত হয়ে
আজও দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে,
নিজ কক্ষপথে
পরিভ্রমণ করি দিন রাত।
আজও কোথাও নীরবে একা একা
কাটিয়ে থাকি অভিমানের প্রতিটি রাত !