তুমি জানতে চেয়োনা নন্দিনী আমি কেমন আছি !
আমি আছি সেই আশাহত প্রান্তরের কিনারায় ।
যেখানে শূন্যতায় লুকোচুরি খেলা করে বিব্রত ভাবনা।
বেদনার শঙ্খ চোখে নেমে আসে তিমির রাত্রি ।
মৌনতা তেড়ে আসে আঁধারের বুক ছিন্ন করে ।
আমার কথোপকথন শব্দহীন বন্ধনে নিশ্চল,
নির্জনে ক্লান্ত অনুভূতিগুলো উড়ে বেড়ায়,
অচেনা অবাক চোখে
চিলেকোঠায় মৃদু আলোয় বেড়ে উঠা নীলকণ্ঠ ।
যার ছায়ার অন্তরালেই লুকিয়ে থাকে বিষাদের মুহূর্তেরা।
বেড়ে ওঠা বয়সের ছাপ আঁকা সময়ের বিবর্ণ ফ্রেমে !
বিরহ বিলাসের নিভৃত মনের জানালার আড়ালে,
জীবনের যবনিকায় সুশ্রাব্য প্রবল আর্তনাদের ধ্বনি ভাসে।
পরিপূর্ণ বয়সের সীমারেখার স্পর্শের প্রহরগুলো নির্বাক !
বর্ষা এসে দিয়ে যায় শ্রাবণের চোখ গড়িয়ে পড়া অশ্রু ।
রঙিন ফানুসে গড়া স্বপ্নাভাঙা ভাবনা কাঁদে নিরালায় বসে।
যে চোখের তারায় ছিল আকাশের অসীম নীল ।
অজস্র যুগের বিদীর্ণ অভিমান হারিয়েছে কৃষ্ণপক্ষে ।
জীবনের প্রথম পাওয়া মনের অলিন্দে কষ্টের বারতায়।
তুমি আর জানতে চেয়োনা নন্দিনী আমি কেমন আছি ?
হাজার পাতার পাঠকহীন কবিতার পাণ্ডুলিপি হয়ে,
জীবনের অস্তিত্বের ভাঁজে ভাঁজে আমি বেশ ভালোই আছি নন্দিনী ।