সেদিনও নন্দিনী তুমি নীরব ছিলে!
ভয় মেশানো শৈশবের একবারে শেষ বেলায়:
যেদিন যৌবনে জোয়ার এসেছিলো আমার অন্তর আত্মায়,
সেদিন চোখ রেখেছিলাম তোমার শান্ত দুটি চোখে।তোমার নীরবতা বলেছিল হাজার কথা,
মনের মাঝে সুখ পাখির ডাক হয়তো তুমিও শুনেছিলে,
কিন্তু বুঝতে দাওনি আমায়।
কোন এক শান্ত বিকেলে,
আধফোঁটা পলাশ হয়ে মিশে গেলে গোঁধুলির আকাশে।
আমি চাঁদের আলোয় খুঁজে ফিরেছি বারে বার,
সেদিন বসন্ত এসেও এক বুক কান্না দিয়েছিল আমায়,
শ্রাবণের মত ঝরেছি !!!
তবু এক সমুদ্র মানুষের ভিড়ে খুঁজেছি,
তোমার সেই শান্ত, নীরব চোখ ।
যার নীরব কথায় মুখরিত আমার সকাল - সাঁঝ ।
তুমি কি খুঁজেছো বারেক আমায় ?
আস্তে আস্তে বদলেছে সময়,
বিশ্ব আজ হয়েছে গৃহবন্দী ।
অন লাইনের স্রোতে ভেসে এলে তুমি,
এক এক করে বদলেছে সব,
শুধু বদল হয়নি চোখের ভাষার ।
এক মুঠো আবীরে রাঙালে মন শূন্যতার মাঝে,
এক ফাঁলি চাঁদের গায়ে এঁকে দিলে পূর্ণতা ।
আমি তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণ স্রোতে
বারবার নিজেকে দিয়েছি ভাসিয়ে ।
সব-ই তো ঠিক ছিলো ,
তবু কেন এক টুকরো আঁধার মাখলে গায়ে ?
কোন অজানার তরে বদলে গেলে পলকে?
আজ আর জানতে চাই না কিছুই,
শুধু বলতে চাই, " ভালো থেকো "!
দোষ কি কিছু ছিল! নাকি সেটুকুও মিশে গেছে,
তোমার চোখে অজানা এক নীরবতা হয়ে ?