ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিনলেন চাচা গরু
দুখের দিনের এই বুঝি শেষ সুখের দিনের শুরু,
যত্নআত্তি চলছে বেশ নিজের চেয়েও বেশি
গরু বাছুরে ভরবে গোয়াল ফুটবে মুখে হাসি।


স্বপ্ন দেখেন গোয়াল তাহার ভর্তি গরুর পালে
গরু দিয়ে মই টানাবেন জমি চাষবেন হালে,
কিন্তু সেতো দীর্ঘ প্রসেস এখন খাবেন কী?
ভর্তা ভাত তার পেটে ঢোকেনা লাগে সাথে ঘি।


প্রতি সোমবার কিস্তি হলো চারশত বাইশ টাকা
কেমন করে কিস্তি দিবেন পকেট যে তার ফাঁকা,
কিস্তি দিতে পারেননি বলে ব্যাংক ম্যানেজার এসে
চোদ্দ শিকে ঢুকিয়ে দেওয়ার ধমক দিয়ে গেছে।


চাচির পাশে বসে চাচা করছেন ভাবনা
পুলিশ ধরে থানায় নিলে ইজ্জত থাকবে না,
এমন কিছু করতে হবে-যাতে নগদ টাকার আসে
খানিক ভাবার পরেই চাচা মুচকি মুচকি হাসে_


বুদ্ধি একটা পেয়েছেন দারুণ গরু বেচবেন হাটে
সেই টাকাতে ব্যবসা করবেন যাবেন না আর মাঠে,
কিছু টাকা কিস্তি দিয়ে করবেন পানের দোকান
আয় রোজগার ভালই হবে নিজেরাও খাবেন ক'খান।


গরু বিক্রির খবর পেয়ে আসলো ‘আজা' কসাই
কসাই কিন্তু পর কেউ নয় তোতা চাচার গোসাঁই,  
‘আজা' কসাই গরুর দাম পনেরো হাজার হাঁকায়
চাচি বলেন, 'কিনেছি-ই তো কুড়ি হাজার টাকায়'!


ষোল হাজারে অবশেষে বিক্রি করলেন গরু
আট হাজারে পান জর্দার দোকান হলো শুরু,
আরো কিনলেন মাছ মাংস, কিনলেন কমলা-লিচু
বাকি টাকা কিস্তি দিলেন রইল না আর কিছু।


মাস তিনেক পর দোকান আছে পান-জদ্দা নাই
কিস্তি এখন ক্যামনে দিবেন খাবেন কি যে হায়!
বাকির খাতা নিয়ে চাচা ঘোরেন দ্বারে দ্বারে
বাকি বিক্রির মাশুল তিনি দিচ্ছেন হাড়ে হাড়ে।


২১/৭/২০১৬