(অর্ণবের মা যখন তাকে জন্ম দেওয়ার জন্য হাসপাতালে প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন, ঠিক সে রাতেই কবিতাটি লেখা। অর্ণব আমার ভাতিজা)।


হে নবীন,
আগমন তোমার শুভ হোক
সুদীর্ঘ হোক পরিচিতি তুষারাদ্রির মতো
জ্যোতিষ্পদ জুড়ে খোদাই করে লেখা হোক তোমার জয়গান,
চীরস্থায়ী ভাস্কর্য্যের মতো।


আগমন তোমার শুভ হোক,
শুভ হোক তোমার বিচরণ পৃথিবীতে;
অতুল্য হও তুমি সূর্য কিরণের মতো
আগ্নেয়গিরির মঙ্গলাময় অগ্ন্যুৎপাতে।
স্পর্শে তোমার অতি জীর্ণ কঙ্কালও জেগে উঠুক
                                         স্নেহশীষ ভালবাসায়।


হে নবীন,
আগমন তোমার শুভ হোক
সরলতা হোক তোমার অহংকার
তুমি হও নির্মলের পূঁজারী;
হাজারো পূজ্য-পুষ্প ফুটে থাকুক তোমার চারপাশ
তবুও পুষ্প কীটের স্পর্শে
           হবেনা তুমি রিক্ত।


পৃথিবীর দীর্ঘ চলার পথের ক্লান্তি মুছে দিতে
তুমি আসো হে নবীন,
অলসতার বিরুদ্ধে তেজস্বী তরবারি হাতে-
                    জ্যোৎস্নার জীবনীশক্তি হয়ে।
ফিরে আসো তুমি জরাজীর্ণ ক্লেদ ভেঙে
স্থবির শৈবাল সাগরের সবুজ শ্যাওলায়।
ফিরে আসো-
মানবাধিকার লংঘিত হওয়া
হিল্লার সর্বহারা মুক্তিকামী মানুষের পাশে।