অন্ধকারের আত্মার গভীরে যে কিঞ্চিৎ আলোর বাস
কেমোথেরাপি নিচ্ছে সে এখন মৃত্যুর দুয়ারে বসে
শ্মশানে-কবরে চলছে সৎকারের অবিরত ব্যস্ততা
নর্দমার কাদায় জরাজীর্ণ শুয়ে থাকে তবু
                            একঝাঁক আলোর মিছিল!


রক্তের মোহনায় জ্বলে ওঠা গণতন্ত্রের মশাল নিভে যায় এসে
                                      বুড়িগঙ্গার শৌচাগারে,
আগামীর ত্রাতারা তখনো বুঁদ হয়ে বসে থাকে
সুন্দরী রমণীকে লাইক-শেয়ারে ভাসিয়ে দিতে
                                  ফেসবুকের পাতায়,
কালের যোদ্ধারা তখনো মত্ত থাকে প্রেমিকার চিবুকের ছোঁয়ায়
কালের যোদ্ধারা সারারাত নগ্ন যাত্রা দেখে ঘুমিয়ে থাকে নেশার বোতলে!


তবুও আশায় বুক বেঁধে থাকে এই কবি পাখিদের গান শুনে শুনে
তবু আশায় বুক বেঁধে থাকে মন রাতের শেষে ভোরের ক্ষণিক আলোয়,
জাগরণের কবিতা শুনে শুনে জাগরিত হবে একদিন শহীদের মিনার!


মানুষের লাশের উপরে দাঁড়িয়ে-আদমশুমারির অথৈ রক্তকনা দিয়ে
রচিত হচ্ছে যে বিভেদের সভ্যতা, নির্মিত হচ্ছে যে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত-
সেই আগ্নেয়গিরির লাভায় একদিন ভস্মিভূত হবে ইশ্বর নিজেই
ভষ্মিভূত হবে স্ব-ঘোষিত ইশ্বর রচিত ইতিহাসের শেষ পাতাটিও...


তবু বিশ্বাস রেখো, ঘুমন্ত শহরেও সবার অগোচরে জেগে থাকে
                                     ক্রসফায়ারের বুলেটের শব্দেরা
সবার অগোচরে জেগে থাকে নির্যাতিতার হাহাকার-ধর্ষিতার করুণ আর্তনাদ,
ইতিহাসের ডাস্টবিন কেবলই কান পেতে থাকে শোষকের উল্লাস ধ্বনিতে,
ইতিহাসের ডাস্টবিন ব্যাকুল প্রতিক্ষায় বসে থাকে তবু
তিলে তিলে গড়ে তোলা নিন্দিত তিলোত্তমাকে
                                   আলিঙ্গনের আশায়।


ইতিহাসের ডাস্টবিন ব্যাকুল প্রতিক্ষায় স্বাগত জানায় বারবার
‘হে নিন্দিত ঈশ্বর, ইতিহাসের ডাস্টবিনে তোমাকে স্বাগতম’!


১২/৭/২০১৬
সোবহান শিল্প এলাকা, কুয়েত