জ্যোৎস্না রাতের কৃপণ আলোয় বসে-
অসীম শূন্যতার শূণ্যকে আঁকড়ে ধরে-আর কতকাল পূর্ণতা খুঁজবে কবি?
আর কতকাল, আর কতকাল রাত জেগে জেগে
                    কবিতার খাতা ভেজাবে অশ্রুজলে?
আর কতকাল গভীর রাতের নিস্তব্ধতায়-
স্মৃতির চৌহদ্দি জুড়ে করুণার থলি হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে
                                   শব্দের সাথে একাকী…!


হে কবি-
কিবা দেবার আছে ঐ নিঃসঙ্গ অন্ধকার রাত্রির?
বিষাদের নদীতে ঢেউ তোলা ছাড়া আর কিবা দেবার আছে ঋণগ্রস্ত পূর্ণিমার?
ভুল করে তবে অগণিত রাত তার কাছে কিসের জন্য
                                 এই পূর্ণতা চেয়ে আবেদন!
কিসের জন্য তবে অশান্ত মোহনাকে ভালবেসে
                বিরহের উত্তাপে টগবগ করে ফোঁটা!


কবিতার খাতায় জমিয়ে রেখেছে কবি কোটি বছরের অভিশাপ,
অন্ধকার প্রতিটি মুহুর্তের ভাজে ভাজে
                      পরম যত্নে সাজিয়ে রেখেছে দু’চোখের বহু ঋণ... ;
অতীতের সেইসব অভিশাপ আর ঋণের বোঝা ঝেড়ে ফেলে এসো;
অনন্ত দুঃখের সমুদ্র পাড়ি দেবো একসাথে,
সবাই আজ ভাগ করে নিবো একে-অন্যের বোঝা
অভিশাপের আড়ালেই খুঁজে দেখবো আজ-
                                  আছে কী কোন পূর্ণতা?


২৫/৮/২০১৬
(আজ ২০০তম)