কার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা আমার? কার অপেক্ষায় বসে থাকা?
আমার তো কেউ ছিলনা পৃথিবীতে!
কোনো কালেও কেউ ছিলনা আপন! তাহলে
কার অপেক্ষায় সারারাত বসে থাকা এই নির্জন
রাত্রির গুহায়?


তবে কী দীর্ঘ বিশ্বাস ভেঙে কেউ আসবে আপন?
নৈশব্দের সাহচর্য পেতে কেউ আসবে সঙ্গোপনে?


হৃদয়ের গভীরে জলছাপ হয়ে আঁকা সুদীনের ঘরে
আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট ছায়াপথ,
আজ আপন বলতে এই নির্জনতা, এই একাকীত্ব আর
গুমোট নিঃসঙ্গতা; তবুও, বিস্মিত ঝাপসা দু’চোখ
অলক্ষ্যে খুঁজে ফিরে হারিয়ে যাওয়া প্রাচুর্যময় অতীতের
উদার আকাশ।


বিস্তৃত ঐ নীলাকাশ আজ
ঘনকালো মেঘের কাছে ম্লান;
এই দুর্যোগ বর্ষায় ভিজে ভিজে কারো আসার কথা নয়_


ইদানিং অনেক কিছুই ভুল হয়ে যায়,
ইদানিং অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়,
ইদানিং অনেক কিছুই আর জানতে ইচ্ছে করেনা।
এই যে সুকেশী আঁধার আজ হয়েছে আপন
সারারাত জেগে বেণী করে সাজিয়ে দিচ্ছি আমি তার চুল,
হঠাৎ কোত্থেকে দমকা হাওয়ারা এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় তার বেণী
কালোকেশী আঁধারেরা সব হয়ে যায় কাফনের তুলা।


হায়! আমার চতুঃসীমানায় একি অজানা ভয়!
আমাকে ঘিরে রাখে এ কোন অশরীরী ছায়া!
প্রলোভনে কাছে ডাকে কোন সে প্রেতাত্মা ঈশ্বর?
আমি কী তবে অচেতন মনে এতদিন করেছি সাধনা মৃত্যুকে পেতে?
আমি কী তবে এতদিন করেছি প্রতীক্ষা
                       সর্বজ্ঞ অসীমের দেখা পেতে?


নশ্বর পৃথিবীর আদিবাসী আমি
আমি তো অবিনশ্বর হতে চাইনি!