নারী; তুমি আজও ব্যবহৃত হচ্ছ প্রতিদিন
এস্ট্রে-পাপোশ কিংবা এঁটে থালাবাসনের মতোই
                                      নিত্য দরকারি পণ্য তুমি;


ঘূণে ধরা এই নষ্ট সমাজের মানচিত্রে
সমধিকারের বুলি যারা আওড়ায়
মানববন্ধনের ব্যানার হাতে রাস্তায়
তারাই তোমাকে ভোগ্য পণ্যের মতো বিক্রি করছে
                                      হাটে-বাজারে-সিনেমা হলে;
সমাজের চোখ তোমাকে বাড়ি-গাড়ির সাথে তুলনা করছে নারী
তুমি সতর্ক থেকো, এসব সমধিকারে বিশ্বাস রেখো না।


পুরুষের কুরূপ কী তুমি দেখোনি ?
যখন তোমাকে তারা যাত্রার মঞ্চে অশ্লীল চিড়িয়াখানা বানায়!
বডি স্প্রে কিংবা আতরের মতো সুগন্ধি হিসেবে তোমাকে ব্যবহার করে?
পুরুষ এগুলো খুব ভালবাসে, তোমাকে ব্যবহার করতে ভালবাসে,
তোমাকে লাঞ্ছিত করতে ভালবাসে, তোমাকে তিরস্কার করতে ভালবাসে,
ভালবাসে তোমাকে নরপশুর মতো ভালবাসতে!


মন-প্রাণ উজার করে যে পুরুষকে তুমি ভালবাসো
বিশ্বাস করে যার কাছে সঁপে দাও নিজেকে তুমি
সঁপে দাও তোমার আত্মা, দেহ, কিংবা বুকের ওড়না
সেই পুরুষই তোমায় লাঞ্ছিত করে রাস্তায়, তোমাকে লাঞ্ছিত করে মিছিলে, লাঞ্ছিত করে নিজ ঘরে।
ধর্ষিত হও তুমি জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি...


অতঃপর, তোমার ধর্ষিত লাশের পোস্টমর্টেম
ডাক্তারকে দেয় যৌন লালসার এক অভূতপূর্ব স্বাদ,
মৃত্যুর আগেও তুমি ধর্ষিত হয়েছো একবার
মৃত্যুর পরেও তুমি ধর্ষিত হও আবার।
অথচ, তোমার জরায়ু কেটে-কুটে অতি গোপনীয় যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়
সেখানে থাকে না কোন ধর্ষণের আলামত,
যেনো তুমি নিজেই ধর্ষণ করেছো নিজেকে !
যেনো তোমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তোমার রূপ, তোমার যৌবন, তোমার নারীত্ব,
তুমি নিজেই!


নারী, তুমি বলতেই পারো-পুরুষকে কেন সভ্য হতে বলছিনা আমি ?
কারণ, পুরুষের রক্তে মিশে গেছে শুয়োরের পুঁজ
পুরুষের রক্তে মিশে গেছে সেই জাহেলিয়ার আদিমতা,
তাদেরকে বলা না বলার সমান...
তাই বারবার আমি লজ্জিত হই
আমি ধর্ষক শ্রেণী হয়ে জন্মেছি বলে...


তুমি সতর্ক থেকো নারী
তুমি সতর্ক থেকো
তুমি সতর্ক থেকো
তুমি জাগ্রত হও...