আমার চারপাশে মৃত্যুর নিশান উড়িয়ে
                 সারারাত খেলা করে স্পর্ধিত চাঁদ;
গায়ে ধুলো মেখে করুণার স্বপ্ন হাতে জেগে থাকি তার তলে
অসভ্য প্রকৃতির দুয়ারে যেমন দাঁড়িয়ে থাকে গৃহহারা বেদুঈন!


যতবার এই তপ্ত বালুকায় স্নান করি প্রভুভক্ত নিরীহ বেশে
ততবারই স্মৃতির স্ফটিকের উপহাসে মনে পড়ে যায়-
একদিন আমিও ছিলাম স্বপ্নমুখর কৈশোরের আঙিনায়
একদিন আমিও ছিলাম কাদামাখা শস্যের সন্তান_


নিন্দ্রা আর অনুভবের বিস্তর ব্যবধানে পুড়ে
এই আমি আজ হয়ে গেছি মরুর সাঁওতাল,
ভাগ্যের নির্মম স্খলনে -স্বপ্ন বিলাসী এই আমি
              ভুলে গেছি আজ কোমলতার স্বকীয়তা!