পাথরের তাজমহলে কী আছে?
কিবা আছে ঐ স্বপ্নপূরীতে !
তার চেয়েও সাজাবো তোমাকে আমি
লক্ষ কোটি গোলাপ সুবাসে ।


ফুলের গন্ধ অনেকের ভালো লাগে না জানি
হয়ত তোমারও; কিন্তু আকাশ তো ভালো লাগবেই,
তবে তুমি আকাশই চেয়ে দেখো
ঐ দূর বিস্তৃর্ণ নীলাকাশ আমি তোমার নামে লিখে দিবো ।


তুমি যদি বনলতার কেশ চাও
তবে মেঘের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনবো অমানিশা;
কিংবা বনভূমির নির্জনতা তোমার যদি ভালো লাগে
তবে শুধু আমরা দুজনে হারিয়ে যাবো
গভীর অরণ্যের সীমাহীন নির্জনতায়;
তুমি শুধু একটিবার বলো সাথী
কি তোমার ভালো লাগে
            তুমি কি চাও ?


মরুভূমি তোমার যদি দেখতে ইচ্ছে করে
তবে পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষরাজি কেটে
বিস্তৃর্ণ মরুভূমি বানিয়ে দিবো ।
অথবা তুমি যদি চাও নদীর উল্টো ধারা
তবে ঐ সুউচ্চ পাহাড় তুলে এনে
বসিয়ে রাখবো স্রোতের গতি পথে ।


কি তোমার চাই শুধু একটিবার ইশারায় বলো,
তুমি কী আকাশের চাঁদ চাও ?
নাকি এমন আরেকটি পৃথিবী তোমার প্রয়োজন;
তবে সে গ্রহের নামটি বলো;
আমারো তো কিছু পূর্ব প্রস্তুতি আছে ।
সে গ্রহে অক্সিজেনের স্বল্পতা থাকতে পারে
বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জন্য সর্বত্র লাগিয়ে দিবো
                                          নিমের চারা ।
থাকার জন্য ছোট্ট একটি বাড়িও বানাবো সেখানে
বাড়ির চারপাশে গোলাকার নদীর মতো পুকুর
নদীর দু’কূল ভরে থাকবে পাতা বাহারের সারি সারি বৃক্ষ
কালো পাথরের সান বাঁধানো ঘাট
                           আরো কত্ত কি...


ভেবে বলো সাথী,
তবে কী তুমি পৃথিবীই চাও ?
নাকি চাও ঐ সূর্যডোবা কিংবা
অথৈ সাগরের লোনাজল ?
সাত সমুদ্রকে অনেক আগেই বলে রেখেছি আমি
শুধু তোমার সম্মতি পেলে প্রশান্ত মহাসাগরের
সবটুকু লোনাজল তোমার পায়ে ঢেলে দিবে ।


বলো সাথী, কী তোমার প্রয়োজন ?
তুমি যদি বলো গ্রীস্মের অগ্নিঝরা দুপুরে
তোমাকে বসিয়ে রাখবো তুষারে আচ্ছাদিত কোন
                                            শীতল ছায়ায়;
তুমি যদি বলো হাড় কাঁপানো শীতের সকালে
পাখিদের ডানায় ভেসে তোমাকে নিয়ে যাবো  
                                            সূর্যের দেশে ।
শুধু তোমার সন্মতি পেলে পৃথিবীর যেকোন অসম্ভবকেই
আজ তুচ্ছ মনে হয়
বিস্তৃর্ণ আকাশে নিজেকে অপরিহার্য নক্ষত্র বলে দাবি করি।


বিশ্বাস করে শুধু একটিবার বলেই দেখো না সাথী
আমার শরীরের সমস্ত রক্তবিন্দু দিয়ে লিখে দিবো
                                             তোমার নাম ।