আজ আবার ফিরে পেতে চায় মন সেইসব হারানো দিনগুলো
কবির কাব্যে যা সোনালী অতীত
বিস্মৃতির বিষাক্ত প্রবাহে এক এক করে মুছে গেছে
                                    ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে।
জং ধরা সেইসব ফিকে হওয়া স্মৃতিগুলো
আজ আবার ফিরে পেতে চায় মন
                       এই কংক্রিট হৃদয় পাশে।


আজ আবার ফিরে পেতে চাই আমি ফেলে আসা সেইসব দুঃখ-অভাব
সেইসব দেনা-পাওনার হিসাব মেলানো জীবন, বাকির খাতা।
আবার আমি ফিরে পেতে চাই কাদামাখা রাখাল জীবন
                                দিঘির স্বচ্ছ জল, নদীর সুশ্রী রূপ।
আবার আমি ফিরে যেতে চাই
ধুলোমাখা শৈবব-কৈশোরের দুরন্ত দিনগুলো,
ন্যাংটো হয়ে সারাদিন নদীর জলে মাছমাছ খেলে
চোখ লাল করে বাড়ী ফেরার বিকেলগুলো;
খড়ের মধ্যে গড়াগড়ি-লুকোচুরি বিকলে বেলা
বাটুল দিয়ে ঘুঘু মেরে চড়ূইভাতি-
         আহা…!


পলিথিনের ব্যাগ হাতে আবার  স্কুলে যেতে চাই আমি
                                                      খালি পায়ে
শেষ বেঞ্চিতে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে চাই সারা দিন,
ফিরে পেতে চাই গ্রাম্য মেলায় নাগরদোলার সুখ
চুরি করে মার্বেল খেলা, দশ পয়সার চকলেট-আইসক্রিম!


কত কিছুই তো দিলো এই বর্তমান, স্যুট-প্যান্ট, মোবাইল আর ইন্টারনেট
তবু কেন মন পড়ে থাকে সেই ছনের ছাউনি, শীতলপাটি
                  কুপি জ্বলা ঘরে?
তবু কেন আমি ভুলতে পারিনা-ছিপ ফেলে মাছ ধরা,
কলা গাছের ভেলা, সেই হাডুডু’র মাখামাখি
যাত্রা পালার রূপবানের সেই করুন কান্না!


কত কিছুই তো নিলর্জের মতো ফিরে আসে বারবার
ফালতু সিনেমার পুণঃপ্রচার, হরতাল-পকেটমার-পানির তৃঞ্চা,
ফিরে না শুধু ফেলে আসা সেইসব অতীতের সুখ
কেবলই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয় সেই হারানোর ফর্দটা
কেবলই দূর থেকে দূরে সরে যায় সেইসব সোনালী দিনগুলো
                                               আমাকে কাঁদিয়ে!!