অনেকদিন ওপথে হাঁটা হয়না
যে পথের দ্বারে ছিল অনেক কাঁটালতা
অথচ কতো নির্বিঘ্নেই না হেঁটে গেছি এতোকাল
তমিস্রার পথে বিছানো পিঙ্গল বালিয়াড়ি পেরিয়ে।
বুকের তিমির ঠেলে কোন উদাস দুপুরে,
ব্যথার প্রবাল জমে জমে প্রিয় মুখগুলো আজ
অপূর্ণ ওষ্ঠ ছুঁয়ে ছুঁয়ে তৃষ্ণার কাছে ফিরে গেছে,কোন বিজন রাত্রিতে।
অথচ প্রিয় মানুষগুলোর অনিশ্চিত ভালবাসার নিবিড় স্রোত বুকের বা'পাশে এসে,
অস্ফুট কান্না হয়ে ভেঙে ছুঁড়ে দিয়ে গেছে
আমার সাঁজানো জীবনের হাজারও কথামালা।
আজ কেন'ইবা ভালবাসার গৃহ ছেড়ে শীতের নরম রোদ মেঘের আড়ালে মুখ লুকায়?
কেন'ইবা ফসলের নিঃস্ব ক্ষেতের প্রতিটি শস্যের সবুজ কণা নিরুত্তাপ অসুখে মোড়ানো?
এভাবেই কি,আমাদের ভবিষ্যৎ জুড়ে শুধু স্তব্ধতা নিঃস্বতার কালোমেঘ আর--
নিরুত্তাপ চিৎকারের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে?
না কি ন্যায্যতা অঞ্জলি ভরে গ্রাস করবে প্রাপ্যতার কাছ থেকে।
নিয়তির কাছে কতোটুকু হিংস্র পাশবিক হলে মিলবে অধিকারের হিরন্ময় রূটি?
ভাবছি আবারো কাঁটালতা বিছানো বসতি বিরল প্রান্তরের ওই পথে।বিস্ফোরক বুকে
হেঁটে যাব অনাদিকাল ধরে, প্রিয় মানুষগুলোর হাতে হাত রেখে দ্বীপ্ত পায়ে,
অধিকারের চূড়ান্ত লড়াইয়ে।