নির্মল কার্পেটে মোড়ানো পথ ধরে হাঁটছে সবাই
সে পথে হাঁটা হবেনা আমার,এই পথ আমার নয়।
জীর্ণ পথে দুখিনী গান শুনে বৈশাখের তুমুল হাওয়ায়,
বাউলের বেহালার করুণ সুর তোলে হেঁটে যাবো
আমি একা-আমার সমস্ত বিশ্বাসের দিকে
কাউকে চাইনা আমি---।
এই নিসর্গের শহরের বাহারী লিপষ্টিক মাখা ঠোঁটের কৃত্তিম হাসির
কোন তীক্ষ্ম রমণীর মায়াবী চোখ,প্রয়োজন নেই
কালো টাকার রাক্ষসী হাতের কোন প্রয়োজন নেই।
আজ নপুংসক রাজনীতির সেলফে্ বন্দি নজরুল রবীন্দ্রনাথ
কেঁদে ফিরছে গ্রাম থেকে উঠে আসা বস্তির খুপড়ীতে আশ্রিত
মানবিক শিশু বৃদ্ধের হাজারও চোখ।
আহা!এ-যেনো আমার প্রাণ প্রিয় সোনার দেশ
অশোকের ছায়ার মতো প্রেরণা বুকে নিয়ে
এই ঋণ শোধিত হবে
দীপ্ত শপথে আমি হেঁটে যাবো হাতে-হাত রেখে,সেই সব মানুষের সাথে,
যারা একদিন স্বপ্ন দেখেছিল ঝলোমল চোখে নতুন কোন সূর্যের।
যারা ভালবেসে জীবন দিয়েছিল একটি মানচিত্রের জন্য,
সেই সব মানুষ আর তাদের অনুসারীদের সাথে, আমি হেঁটে যাবো হাজার বছর ধরে
কৃষক শ্রমিক দিনমুজুরের আশটে্ ঘাম আর কষ্ট নিয়ে,
যুদ্ধোরত সৈনিকের মতো বন্ধুর পথ মাড়িয়ে শ্যূন দৃষ্টিতে।