আয়রে খোকন, যখন তখন,
হাতে নিয়ে লম্বা খড়ি।
অনেক প্রশ্ন লিখে দেবো
আমি আজব গাঁয়ের বুড়ি।


প্রশ্ন ছুঁড়ি মনের মতন,
এক সাথে,কয়েক হাজার কুড়ি।
আঁধার রাতে ছড়িয়ে তারা,
মনে হয়,লক্ষ ফুলের কুঁড়ি।


প্রশ্ন গুলি মনের মতন
নয় কোনো অর্থহীন।
উলট পালট উত্তর লিখি
ভেবে সারাদিন।


প্রশ্ন করি, বলতো খোকা,
একটু খানি ভেবে।
সারা জীবন কাটিয়ে দিল
চন্দ্রমনি জেগে।


বাতাস কেন লুকিয়ে চলে?
নাহি দেখে পাই।
রবিকাকা রেগে আগুন,
মনের শান্তি নাই।


তীব্র বেগে ছুটে নদী
নিচের দিকে কেন?
একটু পরে প্রশ্ন দিবো
কাউকে বলো না যেন।


ফুলের মাঝে সুভাষ এল
কার বুদ্ধির জোরে?
সোজা সরল প্রশ্ন দিলাম
একটা নাহি তোরে।


আকাশ জলে ভেসে কাটায়
লক্ষ লক্ষ তারা।
রৌদ্র বৃষ্টি সহ্য করে
আমার প্রিয় ধরা।


গাছের ডালে,মাসে মাসে
আসে হরেক ফুল।
কৃষ্ণ কালো কেশের বাগান
শ্বেত হল,বলতো এটি কার ভুল?


বিজলী হাসি, মেঘের রাশির
তার পেটে কেন ভরা?
মাঝে মাঝে ঝরে পড়ে
কাঁপায় সবুজ ধরা?


প্রজা[তি রঙ পেল,
অলিরা পেল কেন মধূ?
কার কৃপায় উথাল সাগর?
বলতো ইহা কার যাদু?


বিশ্ব ঢুকে উদার মাঝে
নাহি উদর ভরে।
এর উত্তর দিতে গিয়ে,
চেষ্টা করি হাজার বছর ধরে।


পথের উপর হেঁটে হেঁটে
জ্বালায় তার বুক?
আনমনে হেঁটে চলি-
দেখি তার করুন মুখ?


এমন কত প্রশ্ন আসে
আমার বুড়ি মাথায়।
যখন তখন লিখে রাখি
আমার মনের পাতায়।


হাজার বছর পরে
আসবে আমার খোকা।
সব প্রশ্নের উত্তর দিবে
বানিয়ে দিয়ে বোকা।-----