সুখী আমার ছোট্ট মেয়ের নাম
সুখের মতই কলকলিয়ে হাসে
পায়ে যে তার রুপার নূপুর খানি
হাসির মতই ঝনঝনিয়ে বাঁজে।
দুষ্টমীতে বড্ড বেশী পাকা
ওর জন্য মন্ডা মিঠাই যায় না কিছুই রাখা।
লিখতে গেলে মজার কোন ছড়া
সুখী এসে কলম ফেলে ছুঁড়ে
হয় না ছড়া চোখটা বরং হয় যে ছানাবড়া
লেখার কাগজ সুখী কোথায় লুকিয়ে ফেলে দুরে।
খুঁজতে গিয়ে ক্লান্ত আমি যখন
কোন দুরে যে ছড়ার কথা পালিয়ে তখন বেড়ায়
মস্ত হেসে সামনে এসে সুখী দাড়ায় তখন
ছন্দমেয়ে এক নিমেষে দৃষ্টি তখন এড়ায়।


সুখীর অাছে খেলনা অনেক মজার
তাই দিয়ে ওর সংসারটা সাজায় নিয়মিত
আরো আছে দুই তিনটি ছেলে এবং মেয়ে
মাঝে মধ্যে ওদের সাথে ভিষণ যে বকিত।
বাচ্চাগুলো ওর কিন্তু ছিল বেজায় দুষ্ট
দু'চার রকম খানাপিনায় থাকত না যে তুষ্ট।
পড়ালেখায় বাচ্চাগুলোর মন ছিল না মোটে
সে কারনেই সুখী আমার থাকত ভিষণ চটে।
মাঝে মধ্যে ওদের সাথে করত অভিমান
বলে," আড়ি তোদের সাথে এই কান ধরলাম
বছর গেলেও তোদের সাথে আর কবো না কথা
সামনে থেকে এখন তোরা দুর হয়ে যা কোথা"।


ছোট ছেলের জ্বর হয়েছে একশো এবং আড়াই
বড় ছেলে স্কুলে যায় খানাপিনা ছাড়াই।
আড়াল থেকে দেখি যখন সুখীর এই অভিনয়
বুঝতে পেরে লজ্বা পেয়ে সুখী তখন কয়
" তুমি কেন শুনলে বাবা আমার ওসব কথা
তোমার সাথেই আড়ি আমার দুর হয়ে যাও কোথা"।


         ছ। ১/ ২