ব‌স্তির ন‌‌্যাংটা শিশু
শরীফ আহমাদ।


ঐ বস্তির ন্যাংটা শিশুটা বয়স দু'চার হবে
আমার জামার আস্তিন টেনে বলে
আমাকে তোমার কবিতায় নিতে হবে।
আমি শুধু চুপ, কথা নাই মুখে, ভয়ে দুই চোখ বুঁজি!
বুক ধরফর, গাও ছমছম, কপালের ঘাম মুছি!
বস্তিবাসির শিশুটা আমার জামার
বোতাম ছিঁড়বে বুঝি!
বস্তি বাসির ন্যাংটা শিশুর চোখে
নাই কৌতুক হাসির ঝরনা থেমে গেছে চীর শোকে
মাও চলে গেছে ঐ পরপারে গরীবের মহারোগে।
ন্যাংটা শিশুর দুই চোখে দেখি চেয়ে
জ্বল‌ছে কিসের আগুণ,
সেই আগুণেই আমাকে পুড়বে এখন
আমি আজ বুঝি আগুণেই হবো খুণ!
ন্যাংটা শিশুটা আমার জামার কলার টানছে ধরে
আমার শুভ্র, ভদ্র জামার পকেট টানছে জোরে।
বলছে আমায়,"ভন্ড কবি হে প্রেমের কাব্য লেখো?
হাজারো ফুলের রঙ্গিণ বাগানে বসে
সুখের ছন্দ শেখো?
ও দিকে আমার বাপ মরতেছে ক্যান্সারে ধুকে ধুকে
তোমরা লিখছো সুখের কবিতা
অলস আরাম সুখে?
ন্যাংটা শিশুর দুই চোখে দেখি সুপ্ত বহ্নিগিড়ি
সেই ভয়ে আমি ছোট এক কবি এখন
ভয়ে থথ্থর করি।
কোন খানে যাই নিজেকে লুকাই পালাবার পথ খুঁজি
এই শিশু আজ মৃত্যু দেখাবে ভয়ে দুই চোখ বুঁজি!
২৩/৩৫