একটি অবুঝ নিরীহ,নিরেট পাহাড়
নিরব, নিথর, সবুজ,নির্বিকার।
পাহাড় বল না বরং পাহাড়াদার
কেউ কি বুঝেছে হৃদয়ে অথৈ কষ্ট কতটা তার?
এক,দুই নয়,দশ,বিশ নয় হাজার লক্ষ বছর
পৃথিবীর মাটি রক্ষা করতে উহারা অভয়, অজর।
অতি সামান্য পার্থিব লোভে আঘাত করো যে কত
ঐ যে মহান পাহাড়াদারের হৃদয় করছো ক্ষত।
আঘাতের পর আঘাত করছো বুকেতে ঝড়াও লহু
কান পেতে কভূ শুনেছো কি তোঁরা একবার কোনদিন
কত হা হুতাশ, তপ্ত বাতাস ছুটেই চলেছে হুহু।
বিশ্বকর্তা হুকুম দিয়েছে এক ঠায় তাই দাড়িয়ে
মানব জাতিকে বাঁচাবে বলেই জীবন দিয়েছো বাড়িয়ে।
তবুও তোমরা বোঁঝনা কেন যে মানুষ
পৃথিবী তোমার নষ্ট করছো,এখনো হলো না হুশ।
বিরামবিহীণ রক্তক্ষরণ, পুষ্টিহীণতা শেষে
পাহাড় যখন পরলই ধ্বসে তোমাদের ঘরে এসে।
শতেক,হাজার মানুষ মরল তখন
শহর, নগর ধ্বংস হয়েছে যখন।


   ২৭/ মোমেনশাহী । ১৬/৬/১৬ টাউনহল চত্বর।